শিক্ষা খাতে ক্ষতি পোষানো কীভাবে, নেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, ঘুরপাক এ নিয়েই। পিছিয়ে পড়াদের জন্য নেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। চার বিষয়ে জোর দেওয়ার পরামর্শ।

করোনায় প্রায় ১৪ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন তছনছ। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে শিক্ষা। কিন্তু এই ক্ষতি পোষাতে দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের হাতে।

ক্ষতিগুলো মোটা দাগে জানা। তবে সুনির্দিষ্ট নয়। শিক্ষার্থীদের কতটুকু ক্ষতি হলো, তা এক বছরেও মূল্যায়ন করা যায়নি। কত শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেল, তারও হিসাব নেই। অস্থায়ীভাবে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও পরীক্ষা ঘিরে। সেগুলোও বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

শিক্ষাবিদেরা বলছেন, শিক্ষার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দু-তিন বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। না হলে ক্ষতির প্রভাব পড়বে দীর্ঘ মেয়াদে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতি কতটুকু হলো, তা পর্যালোচনা করতে হবে আগে। এরপর তার ভিত্তিতে ক্ষতি পোষানোর জন্য মহাপরিকল্পনা করে এগোতে হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা ছাড়া বা সামান্য কিছু পড়িয়ে ওপরের শ্রেণিতে ওঠালে দীর্ঘ মেয়াদে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ক্ষেত্রে হয়তো এক বছরের জায়গায় ৯ মাসে শিক্ষাবর্ষ শেষ করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

বন্ধের ১৪ মাস

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা হলো, আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কি না, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

অবশ্য এ সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের গত মার্চে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ লকডাউনের কারণে বিশ্বব্যাপী ১৬ কোটি ৮০ লাখের বেশি শিশুর জন্য স্কুল প্রায় এক বছর ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বেশি দিন স্কুল বন্ধ থাকা ১৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ক্ষতি বহুমাত্রিক। শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষের বাইরে। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা ভুলে যাচ্ছে। বড় ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। পরীক্ষা নিতে না পারায় শেখার দক্ষতা যাচাই হচ্ছে না।

সরাসরি শিক্ষার ক্ষতির বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সামাজিক ও মানসিক প্রভাবও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঝরে পড়া বাড়ছে। কিশোরীদের অনেকে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে।উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ে কর্মজীবনে প্রবেশে পিছিয়ে যাচ্ছেন।

নতুন বছরের চার মাস হয়ে গেলেও কত শিক্ষার্থী এবার প্রাথমিকে ভর্তি হলো, কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়ল—এসব তথ্য সরকারের হাতে নেই। একই চিত্র মাধ্যমিকেও। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তির তথ্য চাওয়া হয়েছে। পেলে বোঝা যাবে।

উদ্যোগে ফল কম, পরিকল্পনা পিছিয়ে যাচ্ছে

বর্তমানে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। করোনাকালে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে রাখতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এর মধ্যে গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে মাধ্যমিকের এবং ৭ এপ্রিল থেকে প্রাথমিকের রেকর্ড করা ক্লাস সংসদ টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে। একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসেছে, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কার্যকর হচ্ছে না।

বেসরকারি সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযানের ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২০-২১ সমীক্ষার অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে’ গত জানুয়ারিতে বলা হয়, দূরশিক্ষণের (সংসদ টিভি, রেডিও, অনলাইন ও মোবাইল) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল সাড়ে ৩১ শতাংশ।

অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাসই হয় না। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে সরকারি বিদ্যালয়গুলো। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আরও পিছিয়ে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আরও বিপাকে পড়েছে। সরকার এ বছরের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, সেটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। কিন্তু বিকল্প কী হবে, তা–ও বলা হচ্ছে না।

জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) শিক্ষাক্রম পুনর্বিন্যাসের কাজ করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকেরা শিখন কার্যক্রম চালাবেন বলে একটি আলোচনা শুরু হয়েছিল। তবে সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মাধ্যমিকে অবশ্য সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা চলছে।

এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায় এবং মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে সরকারের চিন্তা কী, জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, এসএসসি ও এইচএসসির ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির পরিকল্পনাই বহাল রয়েছে। স্কুল-কলেজ খোলার পর তা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখল, তা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। সেটি করার পর বোঝা যাবে শিক্ষার্থীদের কতটুকু এবং কোথায় ক্ষতি হয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষায় বৈষম্য আরও প্রকট

করোনাকালে শহরের স্কুলগুলোতে তবু অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে, পিছিয়ে পড়ছে গ্রামের স্কুল। আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারযোগ্য মুঠোফোন বা অন্য ডিভাইস এবং ইন্টারনেট নেওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা ক্লাস করতে পারছে না। গত মার্চে মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবার আওতায় থাকা দুই–তৃতীয়াংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না।

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, বাস্তবতা হলো, শহরকেন্দ্রিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা কার্যক্রমে সব সময়ই এগিয়ে থাকে। সবার জন্য ন্যূনতম সুযোগগুলো নিশ্চিত না করার ফলে গ্রাম-শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ধনী-গরিবের বৈষম্য আরও বাড়ছে।

শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানে দুই যুগ ধরে কর্মরত সংস্থাটির উপপরিচালক কে এম এনামুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, টিভি, রেডিও ও অনলাইনে ক্লাস হলেও প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা এর সুযোগ কমই পাচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতির মধ্যে ক্ষতি পোষাতে শিক্ষকদের বেশি যোগ্য করে তুলতে হবে। তাদের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে দক্ষ করার ব্যবস্থা করতে হবে। ঝরে পড়া রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, আর্থিক সংকটে পড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিকভাবে সহায়তাও করা দরকার।

উচ্চশিক্ষায় সংকট

পরীক্ষা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট বাড়ছে। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি সংকটে আছে। অবশ্য অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শেষ হলেও চূড়ান্ত পরীক্ষা আটকে আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মিডটার্মসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা হয়েছে। তবে স্নাতকের (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা আটকে আছে। বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সশরীর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সংকট থেকে উত্তরণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তারা কেবল সংকট নিয়ে আলোচনা করেছে, সমাধানে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই। ইউজিসির কয়েকজন কর্মকর্তার মত হলো, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন ইচ্ছে করলে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিতে পারত। আবাসিক হলগুলোতেও ভিড় এড়াতে ধাপে ধাপে পরীক্ষা নেওয়া যেত। কিন্তু তারা এটি করতে পারেনি।

ইউজিসির সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। এই কমিটির প্রধান তিনি। কমিটি শিগগিরই সুপারিশ দেবে।
কমিটি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনভিত্তিক সৃজনশীল অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাস টেস্ট, এমসিকিউ প্রশ্নে পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা বা ভাইভার মাধ্যমে মূল্যায়নের সুপারিশ করতে যাচ্ছে কমিটি। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও সংকট আছে। ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত না করে অনলাইনভিত্তিক মূল্যায়ন কঠিন।

পরিকল্পনায় কী কী থাকা দরকার

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গত ২৯ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে বলেন, করোনার সংক্রমণ কত দিন চলবে, সেটি প্রথমে বোঝা যায়নি। এ জন্য প্রথমে খুব দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়নি। তখন চিন্তায় ছিল সামনে চলে আসা সমস্যার সমাধান করা। এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কাজ শুরু হয়েছে।

পরিকল্পনায় কী কী থাকা দরকার, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শও এসেছে। গণসাক্ষরতা অভিযান গত জানুয়ারিতে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথমে করোনার সংক্রমণহীন ও কম থাকা গ্রামীণ এলাকায় স্কুল খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংস্থাটি দুই বছর মেয়াদি উদ্ধার পরিকল্পনা নিতেও তাগিদ দিয়েছিল।

শিক্ষাবিদ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই মন্ত্রণালয় কোনো রকমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা যাবে, সেটা নিয়েই বেশি ভাবছে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধের কারণে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণে দুই থেকে তিন বছরের পরিকল্পনা নিতে হবে। তিনি কয়েকটি পরামর্শ দেন: এক. স্কুলে দুই-তিন বছরের জন্য বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞানের ওপর বাড়তি জোর দিতে হবে। দুই. পিছিয়ে পড়াদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা দরকার। প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে হবে। তিন. পিছিয়ে পড়া এলাকায় সেখানে নিয়মিত শিক্ষকদের পাশাপাশি কিছু সহায়ক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করে কাজে লাগাতে হবে। বেসরকারি সংস্থাকেও যুক্ত করা যেতে পারে। চার. প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বাদ দিতে হবে।

অধ্যাপক মনজুর আহমদ আরও বলেন, এসব কাজের জন্য দরকার বিনিয়োগ। তাই এবার জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা উচিত।