সৌদি আরবে শিশুদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ইংরেজি ভাষা

সৌদি আরবের স্কুলগুলোতে আগামী শিক্ষাবর্ষে শিশুদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ইংরেজি ভাষা
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি শাসনব্যবস্থার তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে নানা সংস্কারের মাধ্যমে পথচলা শুরু করে ২০১৭ সালে। নারীদের জন্য অভিভাবকত্ব আইন প্রচলন করে। নারীরা গাড়ি চালানো ও পুরুষসঙ্গী ছাড়াই দেশের বাইরে ভ্রমণের অনুমতির পর নারীদের প্রযুক্তিবিষয়ক শিক্ষাদানের জন্য ডিজিটাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। এবার দেশটি প্রাইমারি স্কুলগুলোতে প্রথমবারের মতো ইংরেজি ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে শিশুদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ইংরেজি ভাষা।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাইমারি স্কুলে ইংরেজিসহ পাঁচটি কোর্স চালু করা হবে। এসব কোর্সে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বিজ্ঞান ও গণিতকে। এ ছাড়া চতুর্থ শ্রেণি থেকে ডিজিটাল শিক্ষা শুরু হবে। গত রোববার সৌদি আরবের শিক্ষামন্ত্রী হামাদ বিন মোহাম্মদ আল শেখ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে এক ঘোষণায় এসব কথা জানিয়েছেন।

সৌদি শিক্ষামন্ত্রী হামাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে শিক্ষাক্রমে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকেরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক মাধ্যমে প্রতিযোগিতা করতে পারে। তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য সাধারণ শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। মাধ্যমিক শিক্ষায় উন্নয়ন না ঘটিয়ে কোনোভাবেই উচ্চশিক্ষায় উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয়। ২০২১ সাল থেকেই সেটি শুরু হবে।

উম আল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজমেন্ট অফিসের জেনারেল সুপারভাইজার আয়মান জোহারগি বলেন, ‘ভিশন ২০৩০-কে লক্ষ্য রেখে মানসম্মত এবং প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার জন্যই এটা দরকার। আর শিক্ষা তো সারা জীবনের ব্যাপার। এই ইংরেজি শিক্ষার কারিকুলামে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও মূল্যবোধ বাড়ে। ভিশন ২০৩০-এ আমাদের র‌্যাঙ্ক যেন বিশ্বে সেরা দশে থাকে, সেটাও আমাদের লক্ষ্য।’

আয়মান জোহারগি বলেন, ‘শিশুদের ইংরেজি শেখাতে গেলে প্রথম যে সমস্যায় আমরা পড়ব তা হলো কলেজ গ্র্যাজুয়েটদের বড় দুর্বলতা। চাকরির বাজারে ইংরেজির দক্ষতা প্রয়োজন। আর তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিশুদের শিক্ষা শুরুর সময়ই ইংরেজিতে জোর দিতে চায়। এ সিদ্ধান্ত শিশুদের ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’