৫০০ স্কুলে ২০ হাজার ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল বিতরণ করবে বিকাশ

স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০ স্কুলে এ বছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করবে বিকাশ
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে দেশের বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০ স্কুলে এ বছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করবে বিকাশ। মুজিব শতবর্ষ উদ্‌যাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বই বিতরণের এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুলগুলোতে বিতরণ করবে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। আট খণ্ডে প্রকাশিত গ্রাফিক নভেলের পরবর্তী খণ্ডগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর আবার তা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে পৌঁছানোর পাশাপাশি আরও বেশিসংখ্যক স্কুলে এ কর্মসূচির সম্প্রসারণ করবে বিকাশ।

গতকাল বুধবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে স্কুল প্রতিনিধিদের হাতে বই তুলে দিয়ে এই মহৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি আরিফ খান এবং বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপ, গদ্য ও চিত্রের জুতসই সমন্বয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা চিত্রিত হয়েছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’-এ। কেবল শিশু-কিশোরদেরই নয়, সব বয়সী পাঠককেই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার সুযোগ করে দেবে এই গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০টি স্কুলের প্রতিটিকে ৫ সেট করে মোট ৪০টি বই দেওয়া হবে। ফলে একই সাথে ৪০ জন শিক্ষার্থী স্কুলের লাইব্রেরি থেকে বইটি পড়ার সুযোগ পাবে।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘দেশের যিনি শ্রেষ্ঠ মানুষ, তাঁর জীবনী ছেলেমেয়েদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে বিকাশ। বিকাশকে ধন্যবাদ। বঙ্গবন্ধুর মাঝে যে তেজস্বিতা, কাজের প্রতি একাগ্রতা, বিশ্বাসের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা, স্বপ্ন দেখার অসাধারণ ক্ষমতা, অনন্য ব্যক্তিত্ব এবং দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা আমরা দেখেছি, তা সকলের জন্যই অনুকরণীয়। বাঙালিরা ভাগ্যবান যে তাদের একজন শেখ মুজিব ছিলেন, যাঁর বজ্রকণ্ঠ, অনবদ্য সাহস ও অসাধারণ নেতৃত্ব না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে হয়তো আরও ৫০০ বছর লেগে যেত। এই উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানার সুযোগ তৈরি করল। বঙ্গবন্ধু সকলের রক্তে পাতা মেলুক, বঙ্গবন্ধু সকলের রক্তকে জাগিয়ে তুলুক, এই স্বপ্ন দেখি।’

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘অন্তরীণ থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর লেখা স্মৃতিকথা আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক দলিল। ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে বঙ্গবন্ধু নির্মোহভাবে উপস্থাপন করেছেন তাঁর স্মৃতিকথায়। বঙ্গবন্ধু যেভাবে তাঁর নেতৃত্বের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন, তা আজকের শিশু-কিশোরদের জন্য অনুকরণীয়। এই অনুকরণীয় গল্পগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় নির্মিত গ্রাফিক নভেল “মুজিব” এক অনন্য উদ্যোগ। মুজিব শতবর্ষ উদ্‌যাপন ‍ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ক্ষণে এই উদ্যোগের সহযোগী হতে পেরে বিকাশ গর্বিত।’

বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই বিতরণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে। আগামী প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দেশের দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত থেকে এ পর্যন্ত ২৯০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩২ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ বই দিয়েছে বিকাশ। বিজ্ঞপ্তি