আমেরিকায় পরিচয়, দুবাইয়ে বিয়ে

রাখি ও তাঁর বর সাজ্জাদ
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে পরিচয় লাক্স তারকা রাখি মাহবুবার সঙ্গে সাজ্জাদ হোসাইনের। দুই বছর পর দুবাইয়ের পাম জুমেরাহতে হলো বিয়ের অনুষ্ঠান। একসময় মডেলিং আর নাটকে অভিনয় করলেও পেশায় তিনি একজন প্রকৌশলী। তাঁর স্বামীও প্রকৌশলী, ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন সিঙ্গাপুরে।

দুই বছরের পরিচয়ের পর গতকাল শুক্রবার বিয়ে করলেন ২০১০ সালের লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার রাখি মাহবুবা। রাখি জানালেন, তাঁর জীবনসঙ্গীর নাম সাজ্জাদ হোসাইন। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে দুজনের প্রথম দেখা হয়।

বিয়ে করলেন ২০১০ সালের লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার রাখি মাহবুবা
ছবি : সংগৃহীত

রাখি জানালেন, তাঁদের মধ্যে দুই বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশে জন্ম হলেও ছোটবেলা থেকে সাজ্জাদ সিঙ্গাপুরে থাকেন। তিনি সেখানকারই নাগরিক এবং সেখানেই ব্যবসা করেন। ১৯ মে সকালে দুবাইতে হট এয়ার বেলুনে তাঁদের আংটি বদল হয়েছে। বুধবার তাঁর ডান হাতের অনামিকায় পরা আংটির ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেন রাখি।

রাখির সেলফিতে তাঁর বর সাজ্জাদ
ছবি : সংগৃহীত

২০১০ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিনোদন অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন রাখি মাহবুবা। বিপাশা হায়াতের রচনা এবং তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘বিস্ময়’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক ঘটে তাঁর। এরপর বিজ্ঞাপনে কাজ করে আলোচনায় আসেন তিনি। এর মধ্যে সিলন গোল্ড টি, স্কয়ার কোম্পানির চ্যাপস্টিক, প্রাণ ক্র্যাকো, মেরিল রিভাইভ ট্যালকম পাউডার, মেরিল লিপজেল, গ্লোব ক্র্যাকার্স ইত্যাদি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে প্রশংসিত হন; পাশাপাশি কাজ করেছেন মিউজিক ভিডিওতেও। শুধু তা–ই নয়, ২০১৩ সালে চ্যানেল আই আয়োজিত রিয়েলিটি শো ‘হ্যান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে বেশ আলোচিত হন তিনি।

রাখির সেলফিতে তাঁর বর সাজ্জাদ
ছবি : সংগৃহীত

২০১৩ সালে রাখি মাহবুবা প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক করার জন্য পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির পার্থের এডিথ কোয়ান ইউনিভার্সিটিতে (ইসিইউ) পুরকৌশলে স্নাতক করেন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতেও আমি মিউজিক ভিডিও এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। ওখানে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ক্যামেরা ছেড়ে যেতে পারিনি।’

মাসখানেক আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। অভিনয় করেছেন জীবনের প্রথম চলচ্চিত্রে। এত দিন পর দেশে পূর্ণাঙ্গ একটি সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন, জানতে চাইলে রাখি বলেন, ‘অনেক কষ্ট হয়েছে। নয়টা-পাঁচটা চাকরি করা আর শুটিংয়ের পার্থক্য অনেক। প্রথম দিন একটা গার্মেন্টসে শুটিং করেছিলাম। সেদিন আবার খুব গরম ছিল। শুটিংয়ের জন্য আবার ধোঁয়ার ব্যবহার ছিল। সবকিছু মিলে বেশ কষ্টে কেটেছে।’