ইউনিসেফ বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত জুয়েল আইচ ও মৌসুমী

ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন মৌসুমী, সাকিব আল হাসান ও জুয়েল আইচ
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন মৌসুমী, সাকিব আল হাসান ও জুয়েল আইচ

জাতিসংঘের শিশু উন্নয়ন তহবিল প্রকল্প ইউনিসেফ বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী। জুয়েল আইচ ও মৌসুমী ছাড়াও ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হওয়া প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমকে জুয়েল আইচ বলেন, ‘ইউনিসেফের হয়ে দুই বছর আগেই শিশুদের উন্নয়নে কাজ করেছি। বাংলাদেশের হয়ে কাজ করাটা সৌভাগ্যের। ব্যক্তিগত পেশার মাধ্যমে আগেও বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছি। এবার ইউনিসেফের হয়ে তা করব। আশা করছি, আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারব। অবশ্য এর আগে ইউনিসেফের অ্যাডভোকেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।’
জুয়েল আইচ আরও বলেন, ‘আমার প্রিয় অভিনয়শিল্পীদের একজন অড্রে হেপবার্ন। ‘‘রোমান হলিডে’’ ছবির আলোচিত এ অভিনয়শিল্পী যখন শিশুদের উন্নয়নে কাজ শুরু করেন, তখন থেকে আমার ভেতরও আগ্রহ জন্ম নিয়েছিল। ঢাকায় আমার প্রিয় এই অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে দেখাও হয়েছিল। তখন তাঁর সঙ্গে অনেক কথা হয়।’
মৌসুমী বলেন, ‘শিশুদের কল্যাণে আগেও কাজ করেছি। আবার এমন সুযোগ পেলাম। আমাদের সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উত্সাহ দিয়ে ওদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো লাগবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের পাশে দেশের সব মানুষকে চাই। সবার সহযোগিতা পেলেই সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

জাদুশিল্পী হিসেবে জুয়েল আইচ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম কুড়িয়েছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন তিনি। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য জুয়েল আইচ একুশে পদক, বাংলাদেশ টেলিভিশন অ্যাওয়ার্ডসহ পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে রুপালি পর্দায় মৌসুমীর যাত্রা শুরু হয়। এরপর অভিনয় করেছেন অনেক ছবিতে। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। অভিনয়ের পাশাপাশি মৌসুমী পরিচালনার কাজও করেছেন।