চলচ্চিত্র অভিনেতা রানা হামিদ মারা গেছেন

রানা হামিদ
রানা হামিদ

ঢালিউডের আলোচিত ব্যবসা সফল ছবি ‘গ্যাং লিডার’ এর অভিনেতা রানা হামিদ মারা গেছেন। শনিবার (০৯ মে) রাত সাড়ে এগারটায় রাজধানীর শ্যামলীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি পাকস্থলীর ক্যান্সার ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। নব্বই দশকে একাধিক ছবিতে কাজ করে পরিচিতি পাওয়া এ অভিনেতা বর্তমানে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

রানা হামিদের মৃত্যুর খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান। এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন রানা হামিদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। রানা হামিদের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। শোক প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও সেন্সর বোর্ডের সদস্য অরুণা বিশ্বাস, বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ আরও অনেকে। 

জানাগেছে, নেত্রকোনা সদরে রানা হামিদের পৈতৃক বাড়ি। তার দাফন হবে সেখানেই। রাতেই মরদেহ সেখানে নেয়া হচ্ছে। রোববার দাফন সম্পন্ন হবে।

শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয় নয়, প্রযোজক ও পরিচালক ছিলেন রানা হামিদ। ৯০ থেকে ২০০০ এই ১০ বছরে রানা হামিদ ১০টির মতো ছবিতে কাজ করেছিলেন। ছবিগুলো ছিল তার নিজের প্রযোজনা সংস্থার।
রানা হামিদের প্রথম ছবি ছিল 'ক্ষমতাবান', দ্বিতীয় ছবি 'সন্ত্রাসী রাজা'। অভিনয় পাশাপাশি তিনি তার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা রানা চলচ্চিত্রের ব্যানারে শাকিব খান, শাবনুর ও ফেরদৌস অভিনীত 'সবার উপরে প্রেম' চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। এছাড়া 'বিলেত ফেরত মেয়ে' চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন তিনি।

চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৯ সালের অক্টোবরে তিনি এফডিসির পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশলী) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নেত্রকোণা সদর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একাধিকবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু মনোনয়ন পাননি।