চুরির ঘটনায় জড়িয়ে অস্বস্তিতে স্বস্তিকা

সিঙ্গাপুরে চলচ্চিত্র উৎসবে এসে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার পরিচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বিতর্ক এড়াতে সেখান থেকে চলে যান ইন্দোনেশিয়ায়।
এক জোড়া কানের দুল, দাম সোয়া দুশো সিঙ্গাপুরি ডলার। সিঙ্গাপুরে দর্পণ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসে একটি দোকান থেকে এই দুল ‘চুরি’র ঘটনায় জড়িয়ে পড়লেন স্বস্তিকা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সিঙ্গাপুর ছেড়ে ইন্দোনেশিয়ায় চলে গেছেন স্বস্তিকা ও তাঁর সঙ্গী চিত্রপরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ ও ভারতের সিনেমা জগতের অন্য অনেকের মতো স্বস্তিকা ও সুমনও ছিলেন দর্পণ চলচ্চিত্র উৎসবের আমন্ত্রিত অতিথি। স্বস্তিকা অভিনীত চারটি ছবি এবারের উৎসবে দেখানো হয়।
শহরের যে দোকানটিতে ঘটনাটি ঘটে, তাদের আমন্ত্রণেই দুই দেশের বিশিষ্ট অতিথিরা গত রোববার সকালে সেখানে গিয়েছিলেন। ঘণ্টা খানেকের সেই অনুষ্ঠানে স্বস্তিকা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের সুমন মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, বাংলাদেশের ফেরদৌস, রুহি, মুরাদ পারভেজসহ অন্যরা। অভিযোগ করা হয়, সেখান থেকেই খোয়া গেছে এক জোড়া কানের দুল। অতিথি বিদায়ের পর দেখা যায় দুল উধাও। দোকানের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, স্বস্তিকার হাতে এক জোড়া দুল। নিশ্চিত হওয়ার পর দোকানের মালিক অপ্সরা অসোয়াল বিষয়টি জানান দর্পণের চেয়ারপার্সন শ্রেয়সী সেনকে।
ই–মেইলে সিসিটিভির ফুটেজের কথা উল্লেখ করে অপ্সরা অসোয়াল লেখেন, স্বস্তিকা দাম চুকিয়ে দিলে কিংবা দুলজোড়া ফেরত দিলে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। অপ্সরার কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর শ্রেয়সী অন্যদের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। তাঁরাও নিশ্চিত হন ‘শপ লিফটিং’-এর অভিযোগটি সত্য। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী চুরির সাজা জেল ও জরিমানা।
আজ সোমবার দর্পণের উদ্যোক্তাদের কাউকে না জানিয়ে স্বস্তিকা ও সুমন চলে যান ইন্দোনেশিয়ায়। সেখান থেকে তিনি যোগাযোগ করেন শ্রেয়সীর সঙ্গে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েন শ্রেয়সীসহ দর্পণের কর্তৃপক্ষ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। শেষ খবর, দোকানের মালকিনের সঙ্গে কথা বলে স্বস্তিকা বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে চাইছেন যাতে ব্যাপারটা পুলিশ পর্যন্ত না গড়ায়।