পুরস্কার দেওয়া-নেওয়া আর আগামী দিনে আরও বড় পরিসরে উৎসব আয়োজনের প্রত্যাশা নিয়ে শেষ হলো আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল অষ্টম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব।
৪৮টি দেশের ২০০ ছবি নিয়ে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের গতকাল শুক্রবার ছিল শেষ দিন। বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মোট ১০টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার। স্বাগত বক্তব্য দেন চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ। বিভিন্ন পুরস্কার ঘোষণা করেন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী, নির্মাতা মানজারে হাসীন মুরাদ। পুরস্কার প্রদান পর্বটি সঞ্চালনা করেন উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ ও উৎসব সমন্বয়ক আবির ফেরদৌস।
প্রতিযোগিতার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাকে পরবর্তী ছবি নির্মাণের জন্য যথাক্রমে ২৫ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সবাইকে পুরস্কার হিসেবে স্মারক ও সনদ দেওয়া হয়। শিশু নির্মাতাদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আরবার নির্মিত চলচ্চিত্র স্বতঃস্ফূর্ত। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ফারিহা জাবিনের ছবি লং ওয়েটু গো। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে আশফাক সাকিবের ছবি অভিপ্রায়। এ ছাড়া পদক্ষেপ ও দ্যা ফ্লগ ছবি দুটির জন্য বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আসিফ শাহরিয়ার এবং রাজু আহমেদ ও ইশরাত জাহানকে। আন্তর্জাতিক বিভাগে শ্রেষ্ঠ ফিচার চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে জার্মানির ছবি লোল অন দ্য পি। এই শাখায় শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে ইরানের ছবি অল দ্য উইনটারস আই হাভেন’ট সিন। এ বিভাগে লিটল হ্যান্ডস ছবির শ্রেষ্ঠ পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে ভারতের রাহিন রাভিনদান। আসিফ খানের দ্য পোস্টার ছবিটি তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়েছে। আর সামাজিক চলচ্চিত্র বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে আদিত সবুরের ছবি আহুতি।