ছুটছেন আইরিন ও আরজু

আরজু​ ও আইরিন ছবি: কবির হোসেন
আরজু​ ও আইরিন ছবি: কবির হোসেন

কাল ৯ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে আইরিন ও আরজু জুটির প্রথম ছবি ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল। নতুন ছবি নিয়ে কথা হবে এই দুজন শিল্পীর সঙ্গে। তাঁরা এখন ব্যস্ত ছবির প্রচারণা নিয়ে। ৫ অক্টোবর সকালে এলেন প্রথম আলোর কার্যালয়ে।
ছবির নাম ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল কেন? আইরিন বললেন, ‘নামের ব্যাপারটা ছবির পরিচালক সাইফ চন্দন ভালো বলতে পারবেন। তবে নাম নির্বাচন মোটেও ভুল হয়নি। এখনই এর বেশি কিছু বলতে চাই না। বাকিটা দর্শক হলে গিয়েই দেখতে পাবেন।’
আরজু বললেন, সিনেমার গল্প অসাধারণ। খুব সাধারণ আর চেনা গল্পকে অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। কাজ হয়েছে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া, কলিয়াকৈর জমিদার বাড়ি আর কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন লোকেশনে।
আইরিন বললেন, ছবিতে কাজ করার সময় অনেক মজা হয়েছে।
‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল আমাকে চলচ্চিত্রে একটা শক্ত জায়গা তৈরি করতে সহযোগিতা করতে পারবে,’ বললেন আরজু।
আরজুর কাছে জমা আছে কিছু কষ্টের ঘটনা। বললেন, ‘পুবাইলে শুটিং করার সময় মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছি। ১০ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। দুই মাস কোনো কাজ করিনি।’
এসব কষ্ট এখন আর মনে করতে চান না তাঁরা।
খুলনার মেয়ে আইরিন একসময় র্যা ম্পে কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন টিভি নাটকে। স্বপ্ন দেখতেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের। এরই মধ্যে আইরিনের দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। অন্যদিকে, আরজু চট্টগ্রামের রক্ষণশীল পরিবারের ছেলে। ভালো লাগা থেকে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের তির্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন। বললেন, ‘পরিবারে কেউ নাটকের সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে ভালো চোখে দেখেনি। অসহযোগিতাও করেনি। ঢাকায় এসে বহুরূপী নাট্যসম্প্রদায়ে যোগ দিই। কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় করি। চলচ্চিত্রে কাজ করব ভাবিনি। ২০০৬ সালে হঠাৎ সুযোগ পেয়ে যাই।’
ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল আরজুর সাত নম্বর ছবি। তাঁর অন্য ছবিগুলো হলো তুমি আছ হৃদয়ে, বাজাও বিয়ের বাজনা, প্রেম বিষাদ, অবুঝ প্রেম, মন তোর জন্য পাগল এবং অনুদানের ছবি হেডমাস্টার। আর আইরিনের তৃতীয় ছবি ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল। তাঁর অন্য দুটি ছবি ভালোবাসা জিন্দাবাদ ও ইউটার্ন।
আরজু বললেন, ‘এই ছবিতে যে ধরনের উপাদান আছে, তাতে এটি আমার জন্য লাকি সেভেন হয়ে থাকবে।’ আইরিন বলেন, ‘এটা আমার হ্যাটট্রিক চান্স। আশা করছি আমি হ্যাটট্রিক করতে পারব। ব্যাটিং আর বোলিং দুটোই ভালো হবে।’
কথা বলা শেষ করতে হবে। আইরিন ও আরজুকে যেতে হবে টিভি চ্যানেলে। ছবি মুক্তির আগে কয়েকটি টিভিতে হাজির হচ্ছেন দুজন। কথা বলছেন ছবিটি নিয়ে।
সবশেষে তাঁরা দুজন দর্শকদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রেক্ষাগৃহে বসে ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল ছবিটি দেখার জন্য।