বঙ্গবন্ধু নিয়ে কবিতা আবৃত্তি

‘একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;
আপোষ করিনি কখনোই আমি এই হলো ইতিহাস।
এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?
যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;
তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি,
চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।’
জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদিত সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতার শেষ অংশ এগুলো। কবিতার একক পরিবেশনা দিয়ে আজ ছিল আবৃত্তি সংস্থা সংবৃতার ১৩তম প্রযোজনা ‘আমার পরিচয়’। শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় আবৃত্তি অনুষ্ঠানটি। এটি ছিল প্রযোজনাটির দ্বিতীয় পরিবেশনা।
শুরুতেই সৈয়দ শামসুল হকের লেখা কবিতাটি আবৃত্তি করেন এ কে এম সামছুদ্দোহা। এরপর নুরুন্নাহার বন্যা আবৃত্তি করেন নির্মলেন্দু গুণের ‘কোথায় তুমি নেই’ কবিতাটি। মহাদেব সাহার ‘আমার স্বপ্নের মধ্যে’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন নাসির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে একে একে পরিবেশিত হয় শামসুর রাহমান, মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী, আবদুল গাফফার চৌধুরী, আসাদ চৌধুরী, নূহ-উল-আলম লেলিন, মুহাম্মদ সামাদ, তারিক সুজাত, দাউদ হায়দার প্রমুখের কবিতা। ছিল ‘ফুল আর রাষ্ট্র’, ‘কষ্টে আছি দুঃখে আছি’, ‘তিনি এসেছেন ফিরে’, ‘অর্ধনমিত পতাকা’, ‘তোমার নাম ছিল’, ‘ঝাড়লণ্ঠনের স্বগতোক্তি’, ‘দিয়েছিলে অসীম আকাশ’ কবিতাগুলো।
অনুষ্ঠানটিতে একক ও দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন নাসির উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম, কাঁকন জামান, হাম্মাদ সোহাগ, লাবণ্য শিল্পী, তরিকুল ফাহিম, সাদিয়া সাইদ, হ্যাপী আক্তার, তানজীন পায়েলসহ প্রতিষ্ঠানটির আবৃত্তি শিল্পীরা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বিভিন্ন কবির ২৬টি কবিতা নিয়ে সাজানো এ অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন লাবণ্য শিল্পী।
সম্মিলিত কণ্ঠে সৈয়দ শামসুল হকের ‘মুজিব! মুজিব!’ কবিতাটি দিয়ে শেষ হয় প্রায় দেড় ঘণ্টার এই আয়োজন। আবৃত্তি প্রযোজনাটির দ্বিতীয় মঞ্চায়নে আবৃত্তি প্রেমীদের সরব উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত ছিল আবৃত্তির এ আসর। প্রায় হাজারেরও বেশি কবিতাপ্রেমী তন্ময় হয়ে উপভোগ করেন এই সান্ধ্যকালীন আবৃত্তির আয়োজন।