বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের নানা আয়োজন

চলমান বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানা আয়োজন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। প্রতিবারের মতো এ বছরও রাজধানী ও সারা দেশে রয়েছে চৈত্রসংক্রান্তি এবং নতুন বছর বাংলা ১৪২৪ সনকে বরণের নানা আনুষ্ঠানিকতা। টেলিভিশন এবং এফএম রেডিওগুলোতেও থাকবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় ছায়ানটে রয়েছে প্রদীপ প্রজ্বালন, গান ও কথা। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের নববর্ষের আয়োজনে রমনার বটমূলের নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করবে ছায়ানট। পয়লা বৈশাখ শুক্রবার ভোরে রমনার বটমূলে থাকবে তাদের বর্ষবরণ ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর গান।
সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে থাকবে সুরের ধারার আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান। সেখানে বাংলাদেশে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান শোনাবেন শিল্পীরা। চ্যানেল আই ও সুরের ধারার যৌথ আয়োজন হিসেবে পরদিন ভোরে একই জায়গায় হাজার কণ্ঠে গীত হবে বর্ষবরণের গান, থাকবে একগুচ্ছ সম্মেলক গান।
চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে আজ বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির ভবনগুলোর ছাদে থাকবে ঘুড়ি উৎসব। একই সময়ে একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকবে মানিকগঞ্জের নাগরদোলা ও বায়োস্কোপ, সিরাজগঞ্জের লাঠিখেলা, চাঁপাই গম্ভীরা, পালাগান, গাজী কালু–চম্পাবতী এবং ঐতিহ্যবাহী রায়বেশে নাচ। আগামীকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে থাকবে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও গীতিনৃত্যনাট্য।
চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে থাকছে শিল্পী শাহাদত হোসেন খানের সরোদ, ময়মনসিংহের জসিম পাগলা ও তাঁর দলের পালাগান ‘গাজী কালু-চম্পাবতী’, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গম্ভীরা, পুঁথিপাঠ, দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের পরিবেশনায় গান, নাচ, আবৃত্তি। আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন।
কাল পয়লা বৈশাখে সকাল নয়টা থেকে দিনব্যাপী শিশু একাডেমিতে থাকবে শিশুদের জন্য ছবি আঁকা, পুতুলনাচ, বায়োস্কোপ ও লাঠিখেলা। শিশুদের নিয়ে বৈশাখের গান করবেন শিল্পী ফেরদৌস আরা। সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচার কচি–কাঁচা ভবন প্রাঙ্গণে থাকবে কচি–কাঁচার মেলার আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী ও পিঠা উৎসব।