বাবাকে যেভাবে ডাকি...

বাবা, আব্বা, বাজান—এমন কত নামেই না ডাকা হয় প্রিয় মানুষটিকে, যে ডাকে সাড়া দেন তিনি, মেটান রাজ্যের আবদার। সেই মানুষকে নিয়েই আজকের দিনটি ‘বাবা দিবস’। দিনটি উপলক্ষে কয়েকজন তারকা বলেছেন বাবার গল্প, যাঁরা বাবাকে ডাকেন একটু ‘ভিন্ন’ নামে।
নুসরাত ফারিয়া, অভিনেত্রী
নুসরাত ফারিয়া, অভিনেত্রী

মায়ের কথায় ‘বাবাজি’
নুসরাত ফারিয়া, অভিনেত্রী

ছোটবেলায় মা আমাকে শিখিয়েছিলেন কারও ডাকে সাড়া দিতে হবে ‘জি’ বলে। ওই সময় বাবা ডাকলেও জি বলতাম। আমার মনে হয়, ওই সময় থেকেই বাবাকে ‘বাবাজি’ বলে ডাকি। বাবা মাজারুল ইসলাম আমার সব কাজে প্রচুর সহযোগিতা করেন। আর কোনো ঝামেলায় পড়লে সবার আগে তিনিই এগিয়ে আসেন। সান্ত্বনা দেন। পাশে থাকেন।

মৌটুসি বিশ্বাস, অভিনেত্রী
মৌটুসি বিশ্বাস, অভিনেত্রী

‘বাবু’র চুলে ঝুঁটি করেছিলাম 
মৌটুসি বিশ্বাস, অভিনেত্রী

বাবাকে আমি ‘বাবু’ বলে ডাকি। ছোটবেলা থেকে এভাবেই ডাকি। বাবা কখনো রাগ করেননি। আমার বাবা সৌরেন বিশ্বাস ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। অল্প কিছুদিন আগে অবসর নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছোটবেলায় প্রচুর দুষ্টুমি করতাম। একটা কথা মনে আছে, একবার সকালের দিকে বাবার চুলে ঝুঁটি করে দিয়েছিলাম। বিকেলে মা এসে সেটা দেখে সে কী হাসাহাসি! এখনো বাড়ি গেলে বা বাবা আমার বাসায় এলে আমি ‘বাবু’ বলেই ডাকি। 

সন্ধি, সংগীতশিল্পী
সন্ধি, সংগীতশিল্পী

‘বাপি’ বলে ডাকতাম 
সন্ধি, সংগীতশিল্পী

আমার বাবা খোদাবক্স শানু আমাদের তিন ভাইবোনের আদর্শ। বাবার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। যেমন, কাউকে কখনো না ঠকানো। কেউ টাকা পেলে দ্রুত সেটা পরিশোধ করা। মানুষকে সম্মান করা। আর গানের ব্যাপারটি তো আছেই। আমরা বাবাকে ডাকতাম ‘বাপি’ বলে। এই ডাকটা আমাদের বাপিও খুব পছন্দ করতেন। তিনি চলে যাওয়ার পর এই নামে আর ডাকা হয় না। এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।