লোকার্নো উৎসবে বাংলাদেশের ছবি

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

আগামী আগস্টে ইউরোপের প্রথম সারির চলচ্চিত্র উৎসব লোকার্নোতে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। ছবিগুলোর মধ্যে থাকবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘‘টেলিভিশন’, কামার আহমাদ সাইমনের ‘শুনতে কি পাও’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’। খবর লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের। উৎসবে থাকছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির প্রদর্শনও। এর মধ্যে আছে ইশতিয়াক জিকোর ‘৭২০ ডিগ্রিজ’, আবু শাহেদ ইমনের ‘কনটেইনার’ ও মেহদি হাসানের ‘আই অ্যাম টাইম’। এবারের লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে ওপেন ডোরস কার্যক্রমের আওতায় প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশের এসব ছবি। এই কার্যক্রমে বাংলাদেশ ছাড়াও থাকছে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের ছবি।
৩-১৩ আগস্ট লোকার্নো উৎসবে ছবিগুলো প্রদর্শিত হবে।
মূলত সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) সহায়তায় ওপেন ডোরস কার্যক্রম পরিচালনা করে সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব। সহযোগী হিসেবে আছে একাধিক ইউরোপ ও এশীয় প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যে দেশগুলোতে বড় প্রযোজনা সংস্থার বাইরে ইনডিপেনডেন্ট বা মুক্ত ছবির চর্চা নেই বললেই চলে, সেসব দেশের সিনেমা ও নির্মাতাদের সহায়তার জন্যই এখন কাজ করছে ওপেন ডোরস। গত ২৮ এপ্রিল লোকার্নো ঘোষণা করে, ওপেন ডোরস হাবের জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্র প্রকল্পের নাম। সেখানে জায়গা করে নিয়েছে ইশতিয়াক জিকোর কাহিনিচিত্র সিটি অ্যান্ড ক্যাটস ও কামার আহমাদ সাইমনের ডে আফটার টুমরো। ওপেন ডোরস হাবে নির্বাচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিজয়ী প্রকল্প পাবে ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০ লাখ টাকার বেশি)। প্রকল্পগুলো পেতে পারে ইউরোপের প্রযোজনা ও পরিবেশনা সহায়তাও। এবারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ থাকবে ওপেন ডোরসের আরেক শাখা ওপেন ল্যাবেও। এখানে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন, আবু শাহেদ ইমন ও আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ।