
বাউল নূহীর সাঁইয়ের গলায় লালনের গান ‘কোথায় হে দয়াল কান্ডারি/ এ ভাবতরঙ্গে এসে কিনারায় লাগাও তরী’ দিয়ে শুরু হলো অনুষ্ঠান। নির্মাতা তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরের অকালপ্রয়াণের পাঁচ বছর উপলক্ষে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ, প্রজন্ম ’৭১ ও শিল্পকলা একাডেমি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজন করেছিল এ স্মরণানুষ্ঠানের।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম সে দিনটির অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
মিশুক মুনীরের ভাই আসিফ মুনীর বলেন, তারেক-মিশুক দুজনেই কাজের সময় দারুণ উত্তেজনায় থাকতেন। কীভাবে কোন শট নিতে হবে, তা নিয়ে প্রচুর পরিকল্পনা করতেন তাঁরা।
তারেক মাসুদের সহোদর নাহিদ মাসুদ আবেদন জানান, ঢাকা ও মানিকগঞ্জে দুটি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া যেন দ্রুত হয়। মালিকেরা যেন খবর নেন তাঁদের ড্রাইভার গাড়ি চালাতে প্রস্তুত কি না।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে রানওয়ে ছবিটি দেখানোর পর আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ. আল মামুন। তিনি বলেন, ‘২০০৫-০৬-এর ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে এ ছবি নির্মিত হয়েছিল। তারেক মাসুদ সে সময় এ দেশের জঙ্গি সমস্যার উৎসের খোঁজ করেছিলেন।
মামুন এ ছবিতে মিশুক মুনীরের অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফির কথাও উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী, প্রজন্ম ’৭১-এর অনল রায়হান ও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন। সভাপতি ছিলেন বাউল নূহীর সাঁই। দর্শকসারিতে ছিলেন মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী।