শুটিং না থাকলেই ব্যস্ততা বাড়ে বন্যা মির্জার!

অভিনয়শিল্পী, কণ্ঠশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীরা সাধারণত শুটিং থাকলেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অভিনয়শিল্পী বন্যা মির্জা নাকি শুটিং না থাকলেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
বন্যা মির্জা বলেন, ‘সাধারণত শুটিং না থাকলে আমাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের সেমিনারে অংশ নেওয়া, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে অংশ নেওয়া ইত্যাদি। রয়েছে আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজও। তবে শুটিং না থাকলে আড্ডা খুব একটা দেওয়া হয় না।’
এদিকে এখন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে বন্যা মির্জা অভিনীত বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পিঞ্জর’, ‘এলেবেলে’, ‘অন্দরমহল’, ‘কেবলই স্বপন করেছি বপন’, ‘সংঘাত’ ও ‘চান্দের গাড়ি’।
‘পিঞ্জর’ নাটক প্রসঙ্গে বন্যা মির্জা জানান, খুব চমত্কার একটি চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি নাটকটি পরিচালনা করেছেন বদরুল আনাম সৌদ। বিশাল ক্যানভাসের গল্প, দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বিস্তৃত এবং প্রতিটি চরিত্রই একদম আলাদা রকমের। এই চরিত্রগুলোর বিন্যাসও চমত্কার।
‘পিঞ্জর’ নাটকে সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন বন্যা মির্জার স্বামী মানস চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে বন্যা মির্জা বলেন, ‘এবারই প্রথম তাঁকে সহ-অভিনেতা হিসেবে পেলাম। তবে অভিনয়ের সময় আমি আলাদাভাবে সেটা খেয়াল করিনি। কারণ, অভিনয়ের সময় আমার সব মনোযোগ থাকে পরিচালকের দিকে। তবে বাসায় বসে টিভিতে দেখার সময় মানসের চরিত্রটির প্রতি মায়া অনুভব করেছি। এই অনুভূতির পুরো কৃতিত্ব বদরুল আনাম সৌদের।’
নাটকের কাজ ছাড়া কিছুদিন আগে বন্যা মির্জা অনুদানের একটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ছবিটির নাম ‘হেডমাস্টার’। ছবিটি প্রসঙ্গে বন্যা মির্জা বলেন, ‘আমি কোনো কাজ শেষ করার পর সেই কাজটার খবর রাখি না। ‘হেডমাস্টার’ ছবি সম্পর্কে পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন।’