সনৎকুমার ও সাদি মহম্মদ পেলেন রবীন্দ্র পুরস্কার

বাংলা একাডেমিতে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সভাপতির সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা l ছবি: প্রথম আলো
বাংলা একাডেমিতে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সভাপতির সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা l ছবি: প্রথম আলো

রবীন্দ্রসাহিত্যে গবেষণা ও চর্চায় অবদানের জন্য অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা এবং রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ এবার বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে গতকাল পদক দেওয়া হয়। কবিগুরুর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে রোববার বিকেলে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে স্মারক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও শিল্পীর হাতে ফুল, সনদ, ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন সভাপতি ও অতিথিরা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান রবীন্দ্রনাথের শৈশব থেকে পরিণত বয়সে পৌঁছানোর পুরো সময়টির বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক সূত্রে জমিদারির দায়িত্ব পেয়ে এ ক্ষেত্রে প্রথা ভাঙার বিষয়, দরিদ্র কৃষকদের রক্ষার জন্য কম সুদে ঋণ প্রদান, রাস্তা নির্মাণ, পানির জন্য কুয়া খননের মতো জনহিতকর কাজের উদ্যোগ থেকে শুরু করে বিলেতে সাহেবি কেতা শেখার বিষয়গুলোও উঠে আসে। স্মারক বক্তৃতায় হায়াৎ মামুদ বলেন, ‘একক ব্যক্তির মাঝে বহুত্বের বোধ সঞ্চারের মধ্য দিয়ে মহৎ মানবিকের আবাহনই রবীন্দ্রজীবন ও দর্শনের মূলকথা।’
আসাদুজ্জামান নূর তাঁর বক্তব্যে জানান, রবীন্দ্রচর্চার জন্য সরকার যেমন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু করেছে, তেমনি দেশের বিভিন্ন স্থানে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশনা।