সিনেমা বানাতে হাত বাড়ালেন পরিচালক
তরুণ নির্মাতা হিসেবে চার বছর আগে ‘তারেক মাসুদ ইয়াং ফিল্ম মেকার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন জাহিদ গগন। চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেই উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে প্রথম পুরস্কার জিতে নেয় জাহিদ গগনের ‘আ বুক বিহাইন্ড দ্য সুজ’। চার বছর পর আবার একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানাতে যাচ্ছেন গগন। ‘প্রেম পুরাণ’ নামের এই সিনেমার শুটিং শুরু হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। তার আগেই গণ-অর্থায়নের জন্য সবার কাছে হাত বাড়িয়েছেন নির্মাতা।
২৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই ছবি বানাতে ২০ লাখ টাকা দরকার। এরই মধ্যে ৬ লাখ টাকার বেশি জোগাড় হয়ে গেছে বলেও জানান জাহিদ গগন। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য মনোজ ও সামিয়া অথৈর সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে জানালেন তরুণ পরিচালক জাহিদ গগন।
গণ-অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে জাহিদ গগন বলেন, ‘“প্রেম পুরাণ” চলচ্চিত্রটি দর্শকের সামনে আসার অপেক্ষায় আজ তিন বছর। কয়েক দফা প্রচেষ্টার পরও লগ্নির অভাবে চলচ্চিত্রটি আজও আলোর মুখ দেখতে পায়নি। যেহেতু আমাদের দেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের যথার্থ বাজার এখনো তৈরি হয়ে ওঠেনি এবং লগ্নিকারীরও যথেষ্ট অভাব, তাই চলচ্চিত্রটির মুক্তির জন্য গণ-অর্থায়নের বিকল্প নেই বললেই চলে।’
সিনেমাটি আদর্শবাদী তাজুল আর সংগ্রামী শানুর বিত্ত বৈভবহীন সংসারের গল্প, যে সংসারে প্রতিটি নিশ্বাসে টিকে থাকে প্রেম। পুরোনো শহরের এক ছোট্ট কোণে গড়ে ওঠা এই যুগলের সংসারকে নিয়েই সিনেমা ‘প্রেম পুরাণ’।
স্বল্পদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ভাবা হয় তিন বছর আগে। সিনেমাটির পরিচালক জাহিদ গগন জানান, প্রথম বছরে গল্প সাজিয়েছেন। পরের দুই বছর এর নির্মাণ নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় চলচ্চিত্র শিল্পে লগ্নিকারী পাওয়া তাঁদের মতো তরুণ পরিচালকদের জন্য সহজ না। যার ফলে শুরুতেই হোঁচট খান। ২০১৭ সালে সে কাজ শুরু করে অর্থের অভাবে আবার বন্ধ করতে হয়।
ফিল্ম মিস্ত্রী প্রোডাকশন থেকে নির্মিত হতে যাওয়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির জন্য পরিচালক এবার সবার কাছে হাত বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, এ দেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের বাজার এখনো সেভাবে তৈরি হয়নি। এ ছাড়া লগ্নিকারীরও যথেষ্ট অভাব। তাই চলচ্চিত্রটির তৈরি জন্য গণ-অর্থায়নের বিকল্প নেই।
‘প্রেম পুরাণ’ নির্মাণের জন্য পরিচালক সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি জানান, এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণে যে–কেউ ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যেকোনো পরিমাণ অর্থ সহায়তা করতে পারবেন।