হতে চেয়েছিলেন একজন রাজমিস্ত্রি

অপি করিম
অপি করিম

তাঁদের চেনেন আপনি। আপনি তারকাদের সম্পর্কে জানেনও, কিন্তু ঠিক কতটা জানেন? আপনার প্রিয় তারকা সম্পর্কে জেনে নিন কিছু অজানা তথ্য
কত নামেই যে ডাকা হয় তাঁকে! জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিমের ভালো নাম ‘সৈয়দা তুহিন আরা করিম’ হলেও প্রিয় মানুষেরা তাঁকে ডাকেন ভিন্ন কিছু নামে। পরিবারের কেউ ডাকেন অপিতা, কেউবা অপরূপা। আর বিদেশি বন্ধুদের কাছে ‘সাইদা’ নামে তাঁর পরিচিতি থাকলেও স্কুলের সবাই তাঁকে ডাকতেন ‘তুহিন’ নামে।
অপির নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন একজন বিখ্যাত মানুষ। বড় নামটি ডাকতে অসুবিধা হতো বলে ‘কচি কাঁচার আসর’-এর প্রতিষ্ঠাতা বিখ্যাত লেখক রোকনুজ্জামান খান (দাদাভাই) তাঁর নাম দিয়েছেন ‘অপি করিম’।
মাত্র আড়াই বছর বয়সেই এ শিল্পী স্কুলের আঙিনায় পা রাখেন, উদয়ন স্কুলে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়েই তাঁর পড়াশোনার হাতেখড়ি।
বুয়েট থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় পড়াশোনা শেষ করা অপি বরাবরই ছিলেন একজন ভালো ছাত্রী। কিন্তু মজার বিষয় হলো, ক্লাসের প্রথমসারির এ ছাত্রী ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় কৃষিবিজ্ঞানে পেয়েছিলেন মাত্র ৩৫, যা তাঁর শিক্ষাজীবনে প্রাপ্ত সবচেয়ে কম নম্বর।
ছোটবেলা থেকে বাসাভর্তি বই দেখতে দেখতে অভ্যস্ত অপিতার বই পড়ার অভ্যাসটা একসময় নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল। গল্পের বইয়ে বুঁদ হয়ে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দু-দুবার ড্রেনে পড়ার বিশ্রী অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর।
বিখ্যাত নাটক রক্তকরবীর নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করে তাঁর নিজের নামটি প্রায় ‘নন্দিনী’ই হতে বসেছিল একসময়। মজার একটি ঘটনা হলো, ওই নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে মঞ্চে তাঁর শাড়ির গিঁট হঠাৎ খুলে যায়। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে নাটকের বাকি সময়টুকু পেটে হাত চেপে শাড়ি ঠিক করে রেখেছিলেন। আর দর্শক নাকি তাতে ভেবে নিয়েছিল, নন্দিনীর পেটে ব্যথা...
প্রচণ্ড রকমের মাতৃভক্ত এ অভিনেত্রী তাঁর জীবনের প্রথম ও একমাত্র বন্ধু মনে করেন মাকেই। কিন্তু ভিকারুননিসা কলেজে পড়ার সময়টায় পাওয়া বন্ধু তৃপ্তিকে এখনো খুঁজে ফেরেন আনমনে। বিনয়ী আচরণের একটা বড় অংশই তিনি শিখেছিলেন হারিয়ে যাওয়া সে বন্ধুর কাছে।
ছোটবেলায় অপি হতে চেয়েছিলেন একজন ‘রাজমিস্ত্রি’! তখন নাকি তাঁর ধারণা ছিল, রাজমিস্ত্রিরাই বড় বড় বাড়ি বানায়। আর সে বাড়ি বানানোর ইচ্ছাতেই তাঁর রাজমিস্ত্রি হতে চাওয়া। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিনি তা-ই হয়েছেন, একজন বড় রাজমিস্ত্রি, মানে স্থপতি।
২০০৫ সালের দিকে শিল্পী তপন চৌধুরীর সঙ্গে গাওয়া ‘আকাশের বুকে যদি না থাকে নীল’ গানটিই অভিনেত্রী অপির গাওয়া প্রথম গান। কোনো এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে তিনি ওই গান গেয়েছিলেন।
গ্রন্থনা: আবদুল ওয়াজেদ