'আপনি কি তপু ভাই?'

তপু
তপু

ঈদ মানেই তো আনন্দ। কিন্তু ভাই, আমার তো ঈদে কোনো মজার ঘটনা ঘটেনি। তাই আমার তারকা হওয়ার আগে ও পরের ঈদের ঘটনা শুনে আপনি আনন্দ নাও পেতে পারেন। তারকা হওয়ার আগে তো বয়স কম ছিল। সেই সময় ঈদের আগেই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যেত। ঈদ সালামির বিষয়টিই মাথায় বেশি ঘুরপাক খেত। ঈদের দিন এই সালামি সংগ্রহ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলত। চাঁদরাত আমাদের বন্ধুদের জন্য ছিল বছরের সেরা একটা দিন। ওই দিন রাতে সবাই মিলে মার্কেটে যাওয়া চাই-ই চাই। সন্ধ্যা থেকে রাত একটা দুইটা পর্যন্ত সব দোকান ঘুরব। হাবভাবে দোকানদার মনে করত, আমরা বড় কাস্টমার! ঘুরে ঘুরে কত টাকারই না শপিং করছি আমরা। নিজের কাছেও মনে হতো, আমরা বুঝি কোটি টাকার শপিং করে ফেলেছি। কিন্তু সব দোকান ঘোরা শেষ, দেখা গেল পুরোটাই ফাঁকা আওয়াজ! মানে এক টাকারও কোনো কিছু কিনিনি। তারকা হওয়ার পর সেই মজাটা আর পাওয়া যায় না। ঈদের কেনাকাটা ওইভাবে করা হয় না। যদিও যাই তাও আবার স্বাধীনভাবে শপিং করা কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। দোকানে ঢুকে একটু যে ঘুরে ঘুরে দেখে পছন্দ করে কিনব, উপায় থাকে না। বেশির ভাগ সময়ই ভক্তদের নানা রকমের উত্তর দিতে দিতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। অনেক সময় বিরক্তও হয়ে পড়ি। যদিও এটি মধুর বিরক্তি। গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পরের ঘটনা এটি—একবার ঈদের আগে আড়ংয়ে গেছি, কিছু গিফট কিনব। ঘুরছি। দুজন মেয়ে এসে বলল, ‘আপনি তপু ভাই?’ আমি ‘হ্যাঁ’ বললাম। এর পর থেকে আমি দোকানের মধ্যে যেখানেই যাই, সেখানেই ওরা দুজন গিয়ে আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। নাছোড়বান্দা! কী আর করব, ওখান থেকে বের হয়ে অন্য মার্কেটে গিয়ে গিফট কিনলাম।