পাঁচ দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র বাছাইয়ের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে, বাছাই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন চলচ্চিত্র-গবেষক ও লেখক অনুপম হায়াৎ। চলচ্চিত্র নির্বাচনের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট জুরি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন মুস্তাফা মনোয়ার।
এর আগে বছরব্যাপী উদ্‌যাপনের উদ্বোধন করা হবে ১৯ মার্চ, এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আরও থাকবেন চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

বছরব্যাপী উদ্‌যাপন শেষ হবে ২৮ অক্টোবর। সেদিন সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী অনুষ্ঠান।
এর মধ্যে বছরজুড়ে আয়োজনের অংশ হিসেবে ৮ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ‘চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্রের উৎসব’, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের অন্যতম জ্যেষ্ঠ সংগঠক, জাতীয় উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে, তার ৯০ শতাংশই এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নির্মাতারা নির্মাণ করেছেন। ’

চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনবিষয়ক ধারণা দিতে দেশের ১০টি জেলায় চলচ্চিত্র শিক্ষাবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করবে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ। কর্মশালাগুলো অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, রংপুর, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাঙামাটিতে।
চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৬০ বছর ও ফেডারেশনের ৫০ বছর উপলক্ষে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনবিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী অদ্রি হৃদয়েশ।
সংবাদ সম্মেলনে মোরশেদুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন মামুন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি লায়লুন নাহার।