এ শিশুকে চিনতে পেরেছেন? বড় হয়ে সফল অভিনেতা,পরিচালক হয়েছেন

আশির দশকের শেষে তাঁর অভিনয়জীবন শুরু হয়। মঞ্চ ও টেলিভিশনে তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শকেরা। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি নির্মাতা হিসেবেও মুনশিয়ানা দেখাচ্ছেন। ১৯৬৫ সালের আজকের এই দিনে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। কে তিনি? জেনে নেওয়া যাক ছবিতে ছবিতে।
১ / ৪
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি স্থাপত্যে স্নাতক করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে। ১৯৯৯ সালে ভালোবেসে নন্দিত মডেল, অভিনেত্রী ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াতকে বিয়ে করেন। তাঁদের দাম্পত্য জীবন আলোকিত করে রেখেছে দুই সন্তান
২ / ৪
আশির দশকের মাঝামাঝি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত নাটকে রোমান্টিক চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পান। ১৯৯৬ সালে তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘নদীর নাম মধুমতী’-তে অভিনয় করেন তিনি। একই বছর তিনি শ্বশুর আবুল হায়াত পরিচালিত প্রথম নাটক ‘হারজিত’-এ অভিনয় করেন। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন স্ত্রী বিপাশা হায়াত
৩ / ৪
পরবর্তী সময়ে তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত দেশভাগের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’ ও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত বিখ্যাত উপন্যাস ‘লালসালু’ অবলম্বনে নির্মিত ‘লালসালু’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন
৪ / ৪
তিনি আর কেউ নন অভিনেতা, নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। তাঁর পরিচালিত প্রথম নাটক ‘তোমার বসন্ত দিনে’। ২০০৪ সালে তিনি নাটক ‘অরণ্যের সুখ দুঃখ’ পরিচালনা করেন। একই বছর তাঁর চলচ্চিত্র পরিচালনায় অভিষেক হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জয়যাত্রা’ পরিচালনার মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি আমজাদ হোসেন রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এটি পরিচালনার মাধ্যমে তিনি ২০০৫ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। চলচ্চিত্রটি ২০০৬ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০০৮ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন