গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল তৌহিদ আফ্রিদির

সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হবেভিডিও থেকে

গতকাল রোববার বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। বরিশাল মহানগরের বাংলাবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। রাতেই তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
আজ সকালে সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি আফ্রিদি। গ্রেপ্তারের পর রাতেই তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন সিআইডির হেফাজতে আছেন। আজই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।’

এদিকে আফ্রিদিকে গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। যেখানে তাঁর স্ত্রীকেও দেখা যায়। গ্রেপ্তারের পর তৌহিদ আফ্রিদি পুলিশকে বলেন, ‘আমি শুধু ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ, আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’

তৌহিদ আফ্রিদি
ছবি : তৌহিদ আফ্রিদির ইনস্টাগ্রাম

গাড়িতে তোলার আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘এটা কি ভাড়া বাসা?’ জবাবে তৌহিদ আফ্রিদি জানান, এটা তাঁর দাদার বাড়ি। তাঁর বাবা গ্রেপ্তারের পর দাদার কবর জিয়ারত করতে বরিশাল এসেছেন।

অভিযানের সময় আফ্রিদিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি পালাব না। কোরআনের কসম, আমি ওমরাহ করে এসেছি। আমি কেমন ছেলে, তা সবাই জানে।’
একই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁর বাবা, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী। ১৭ আগস্ট তাঁকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলায় মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর মধ্যে প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দ্বিতীয় আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৃতীয় আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল–মামুন। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

তৌহিদ আফ্রিদি ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভ্লগ ও ভ্রমণকেন্দ্রিক কনটেন্টের জন্য তাঁর বড় অনুসারী গড়ে ওঠে।