‘স্যার বেঁচে থাকলে হয়তো ফোন করতাম’

ইনামুল হক ও সাজু খাদেম
ছবি: সংগৃহীত

‘অনেক দিন পর স্যারের লেখা নাটকে অভিনয় করলাম। প্রতিটা মুহূর্তে স্যারকে মিস করেছি। স্যার বেঁচে থাকলে হয়তো ফোন করতাম। চিত্রনাট্যের বিভিন্ন জায়গায় কী ধরনের অভিনয়, অভিব্যক্তি হবে, জানতে চাইতাম। স্যার বুঝিয়ে বলতেন। আগেও এভাবে অনেকবার স্যারকে ফোন করেছি। এবার স্যারের অনুপস্থিতি অনেক বেশি মিস করেছি’ কথাগুলো বলেন অভিনেতা সাজু খাদেম। এই স্যার হলেন তাঁর শ্বশুর, অভিনেতা ও নির্দেশক ইনামুল হক। তিনি গত বছরের ১১ অক্টোবর মারা যান।

ইনামুল হক
ছবি : সংগৃহীত

করোনার মধ্যে ঘর থেকে বের হননি ইনামুল হক। সে সময় দেশ–বিদেশের গল্প–উপন্যাস পড়ে আর অনুবাদ করে তাঁর সময় কেটেছে। সে সময়ই এনামুল হকের মনে ধরে যায় আন্তন চেখভের নাটক ‘দ্য প্রপোজাল’। সেই নাটক থেকেই লেখেন ‘প্রস্তাব’। সাজু খাদেম বলেন, ‘আমি স্যারের লেখার ভীষণ ভক্ত। এখন তো ভালো গল্প কম পাই। সেখানে এই নাটকের লেখনীর জায়গা থেকে আলাদা ঢং রয়েছে। স্যার আমাদের মাঝে নেই। সব সময়ই মিস করি। তিনি আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেওয়ার পর এবারই প্রথম স্যারের গল্পে কাজ করলাম। অনেক কষ্ট পেয়েছি। হয়তো স্যার বেঁচে থাকলে চিত্রনাট্য নিয়ে বাসায় যেতাম। অনেক কিছু বোঝা হতো। অভিনয় নিয়েই অনেক কিছু জানতে পারতাম। এখন তো আমাদের শেখানোর মতো মানুষ কম। স্যারের অনুপস্থিতি মনে করিয়ে দেয়, স্যার প্রতিটা মুহূর্তেই আমাদের সঙ্গে আছেন।’

সাজু খাদেম
ছবি: সংগৃহীত

নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেশী দুই পরিবারের সম্পর্কের গল্প। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। হঠাৎ সেই দুই পরিবারের ছেলে–মেয়েদের মধ্যে বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। সামনে আসে অতীতের জমিসংক্রান্ত নানা বিষয়। বিয়ে ঠিক হলেও পরে কুকুর নিয়ে বর–কনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সাজু খাদেম বলেন, ‘ক্ল্যাসিক্যাল এই গল্প সব সময়ের।’

নাটকের একটি দৃশ্যে সাজু খাদেম ও সানজিদা প্রীতি
ছবি: সংগৃহীত

নাটকটি বিটিভিতে প্রচার হবে। নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সানজিদা প্রীতি, কিসলু হায়দার প্রমুখ। প্রযোজনা করেছেন ইমাম হোসাইন। তিনি জানান, মানুষের জীবনে তর্কবিতর্ক থাকবেই। এর সঙ্গে সম্পর্কের দ্বন্দ্ব নেই। এ বিষয়ই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে।