কবিতা ও গান হয়ে রুদ্র রয়ে গেছেন বাংলায়। আর আছেন চিত্রসমালোচক মুহম্মদ খসরুর একটি আলোকচিত্রে। হাস্যোজ্জ্বল রুদ্র ছবি হয়ে গেছেন সেই ৩৪-এ। সশরীরে বাঁচলে হয়তো আজও লিখতেন ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’-এর মতো কবিতা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬০তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের আয়োজন করেছিল রুদ্র সংসদ। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল কবিকে নিয়ে আলোচনা। মঞ্চে উপস্থিত প্রায় সবাই ছিলেন রুদ্রের বন্ধু। ব্যতিক্রম শুধু প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান। রুদ্রের কিছু কবিতা পড়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন, অশান্ত সময়ের ছাপ রয়েছে তাঁর কবিতাগুলোয়।
অনুষ্ঠানে নিজের সুর করা রুদ্রের ‘উড়ব একাই’ গানটি গেয়ে শোনান শিল্পী তানভীর আলম। শোনান রুদ্রের বিখ্যাত ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ গানটিও। এ ছাড়া গান করে রুদ্রের তৈরি করা গানের দল ‘অন্তর বাজাও’। আবৃত্তি করেন রুদ্র সংসদের শিল্পীরা।
স্মৃতিচারণা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি কবির ঘনিষ্ঠ বন্ধু কামাল চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক। আলোচনা করেন রুদ্রের বন্ধু নিশাত খান, বিশ্বজিৎ ঘোষ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ ও গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর।