হৃদয় ভরে দাও

টিআইসিতে ডি স্প্রাখে আয়োজিত সংগীত আসরে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন ভারতের শিল্পী অজিতা গুহ
টিআইসিতে ডি স্প্রাখে আয়োজিত সংগীত আসরে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন ভারতের শিল্পী অজিতা গুহ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রকৃতি, পূজা ও প্রেম পর্বের গান শুনিয়ে দর্শকদের আবেগে ভাসালেন ভারত ও বাংলাদেশের দুই শিল্পী অজিতা গুহ ও কিংশুক দাশ। ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জার্মান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র ডি স্প্রাখে। প্রায় দুই ঘণ্টার আসরে শিল্পীরা পরিবেশন করেন ২০টি গান।
‘হৃদয় ভরে দাও’ শিরোনামে এই আসরের প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার। অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন ও জার্মান ভাষা শিক্ষাকেন্দ্র ডি স্প্রাখের পরিচালক জয়ন্ত চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী অরুণ ভদ্র।
আসরে রবীন্দ্রনাথের নানা পর্বের গান শুনিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন কলকাতার শিল্পী অজিতা গুহ। গানের ফাঁকে ফাঁকে তিনি গানের নানা অনুষঙ্গ নিয়েও কথা বলেন।
তাঁর গাওয়া প্রথম গানটি ছিল ‘তোমরা যা বলো তাই বলো, আমার লাগে না মনে’। এরপর তিনি পরিবেশন করেন ‘আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে’ এবং ‘আমার মল্লিকাবনে যখন প্রথম ধরেছে কলি’।
প্রকৃতি পর্বের গানের পর ছিল পূজা পর্বের গান। অজিতা শোনালেন ‘আকাশ জুড়ে শুনিনু ওই বাজে তোমারি নাম সকল তারার মাঝে’, ‘বিপুল তরঙ্গ রে’, ‘কার মিলন চাও বিরহী’, ‘তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে’, ‘দূরে কোথায় দূরে দূরে’, ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে’ ও ‘দাও হে হৃদয় ভরে’।
প্রকৃতি ও পূজা পর্বের গানের পর ‘ও যে মানে না মানা’ এই গান দিয়ে শিল্পী অজিতা গুহ শুরু করেন প্রেম পর্বের গান। একে একে গাইলেন ‘আমি রূপে তোমায় ভোলাব না, ভালোবাসায় ভোলাব’ ও ‘না চাহিলে যারে পাওয়া যায়’। তাঁর গানে মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে পড়ে মিলনায়তনজুড়ে।
এর আগে চট্টগ্রামের শিল্পী কিংশুক দাশ চৌধুরীও প্রেম ও পূজা পর্বের গান শোনান। তিনি গাইলেন ‘শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়’। এরপর একে একে পরিবেশন করেন ‘সেই ভালো সেই ভালো, আমারে না হয় না জানো’, ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার তলে’, ‘স্বপন পারের ডাক শুনেছি, জেগে তাই তো ভাবি’ ও ‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী’।
দুই বাংলার দুই শিল্পী সবশেষে দ্বৈত কণ্ঠে গাইলেন ‘আলো আমার, আলো ওগো, আলো ভুবন ভরা’। এই গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান মিলনায়তন–ভর্তি দর্শক–শ্রোতারাও।