কান উৎসবের কার্যক্রমে কামার আহমাদ সাইমন

কামার আহমাদ সাইমন l ছবি: প্রথম আলো
কামার আহমাদ সাইমন l ছবি: প্রথম আলো

৭০তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লা অ্যাতেলিয়েরে আমন্ত্রিত হয়েছেন বাংলাদেশের নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন। তাঁর নির্মিতব্য ছবি ‘ডে আফটার টুমরো’র জন্য তিনি এই আমন্ত্রণ পেয়েছেন। গত শুক্রবার কান চলচ্চিত্র উৎসবের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। বিষয়টি জানতে কামারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেন প্রথম আলোকে।
নতুন ধারার ছবিকে উৎসাহিত করার জন্য ২০০৫ সাল থেকে লা অ্যাতেলিয়েরের ব্যানারে সিনেফন্দাশিয়ঁকে দায়িত্ব দেয় কান চলচ্চিত্র উৎসব। এরপর থেকে প্রতিবছর নবীন থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের নির্মিতব্য ছবির চিত্রনাট্য যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচন ও নির্বাচিত নির্মাতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছে কানের লা অ্যাতেলিয়েরে। উৎসবের প্রতিদিনের ছবি ফোরাম ও বিশেষ আয়োজনে তাঁদের অংশগ্রহণ থাকে।
কানের লা অ্যাতেলিয়েরে বিবেচনার জন্য কোনো নির্মাতা নিজে থেকে তাঁদের কাজ জমা দিতে পারেন না। কানের হয়ে সারা বছর এই কাজটি করে থাকে সিনেফন্দাশিয়ঁ, নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের উৎসাহিত করাই যাদের মূল লক্ষ্য। তারাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নির্মাতাদের প্রতিশ্রুতিশীল কাজগুলো খুঁজে বের করে এবং উৎসবের জন্য আমন্ত্রণ পাঠায়।
এবারের কান উৎসবে লা অ্যাতেলিয়েরের ১৩তম আয়োজনে কামারের পাশাপাশি আরও আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিশ্বের ১৪টি দেশের ১৫ জন নির্মাতা। লা অ্যাতেলিয়েরে বাংলাদেশ ছাড়াও এ বছর নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, চীনের মতো দেশের কিছু চিত্রনাট্য। কান উৎসবের ওয়েবসাইটে এই নির্বাচিত নির্মাতাদের চিত্রনাট্যগুলোকে বলা হয়েছে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিশ্রুতিশীল কাজ’।
গত বছর লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ডে আফটার টুমরো’র জন্য বিশ্ব চলচ্চিত্র মঞ্চ পিয়াতজা গ্রান্দায় পুরস্কৃত হয়েছিলেন কামার আহমাদ সাইমন, পেয়েছিলেন ‘আরতে প্রি’ ও ‘ওপেন ডোরস’ পুরস্কার।
উল্লেখ্য, কামার আহমাদ সাইমনের প্রথম ছবি ‘শুনতে কি পাও’ প্যারিসের প্রামাণ্যচিত্র উৎসব সিনেমা দ্যু রিল-এ সেরা ছবি হিসেবে জিতেছিল ‘গ্রাঁ প্রি’ পুরস্কার। এই ছবির জন্য মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘স্বর্ণশঙ্খ’ ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জয় করেন এই নির্মাতা। কামার আহমাদ সাইমন বলেন, ‘শুনতে কি পাও’-এর ধারাবাহিকতায় হবে ‘ডে আফটার টুমরো’। এটি তাঁর নির্মিতব্য ওয়াটার ট্রিলজির দ্বিতীয় ছবি। এর আগে এই ছবির জন্য সানড্যান্স ও ইডফার মতো চলচ্চিত্র উৎসব প্রতিযোগিতামূলক অনুদান পুরস্কার দিয়েছে কামার আহমাদ সাইমনকে।