আদালতের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই শপথ

শপথ গ্রহণের পর জায়েদ খান, রিয়াজ ও মিশা সওদাগর
শপথ গ্রহণের পর জায়েদ খান, রিয়াজ ও মিশা সওদাগর

বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ দ্বিতীয় আদালত এই অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে না।
৫ মে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নির্বাচনে ওমর সানী-অমিত হাসান প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী অভিনেতা ও প্রযোজক রমিজ উদ্দীন ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ১১ মে আদালতে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের আবেদন করেন। ওই দিনই আদালত এই নির্দেশ দেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্রনির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর, আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান চিত্র প্রযোজক নাসির উদ্দিন দিলু, শিল্পী সমিতির বিগত কমিটির সভাপতি চিত্রনায়ক শাকিব খান ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ বরাবর আদালত এই নির্দেশ দেন।
আদালতের এই নির্দেশের ব্যাপারে কথা হয় মনতাজুর রহমান আকবরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ এখনো হাতে পাইনি। নির্বাচনী তফসিলে আছে, ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাতে হবে। তাই নির্ধারিত সময়েই আমরা শপথ অনুষ্ঠান করছি।’
গতকাল শুক্রবার পূর্বঘোষিত সময়েই নতুন কমিটির সদস্যদের শপথ পড়ানো হয়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, রিয়াজ, নাদির খান, রোজিনা, পূর্ণিমা, পপি, নাসরিন, অঞ্জনা, নানা শাহ, সুব্রত, আরমান, জ্যাকি আলমগীর।
এদিকে গতকাল বিকেলেই বাদীপক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তর করতে না পারলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজটি করা মানেই আদালত অবমাননা।’
ক্ষমতা হস্তান্তরে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘ছুটির কারণে হয়তো আদালতের নির্দেশ আমরা হাতে পাইনি। তবে বিজ্ঞ আদালত যদি এমন নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা আইনগতভাবেই তা সুরাহা করার চেষ্টা করব।’