নতুন র‍্যাম্বোকে পুরোনো র‍্যাম্বোর শুভেচ্ছা

টাইগার-সিলভেস্টার স্ট্যালন
টাইগার-সিলভেস্টার স্ট্যালন

শনিবারই মাত্র প্রকাশ পেয়েছে টাইগার শ্রফের ‘র‍্যাম্বো’ ছবির প্রথম পোস্টার। এটি হলিউডের আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় সিরিজ ‘র‍্যাম্বো’র হিন্দি রিমেক। ছবিটি হিন্দিতে তৈরি হওয়াতে বোধ হয় খানিকটা শঙ্কিত ছিলেন ‘র‍্যাম্বো’খ্যাত অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালন। কারণ, তিনিই তো রুপালি পর্দার আসল র‍্যাম্বো।

পোস্টার প্রকাশের এক দিন আগে, অর্থাৎ শুক্রবারে টুইটারে তাঁর একটি পোস্টে শঙ্কার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে, পোস্টার দেখার পর উল্টো তিনি শুভকামনা জানালেন নতুন র‍্যাম্বো টাইগারকে।

১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া নিজের ‘র‍্যাম্বো’ ছবির একটি পোস্টার প্রকাশ করে সিলভার প্রথমে টুইট করেছিলেন, ‘শুনলাম ভারতে এই সিনেমার রিমেক হচ্ছে। র‍্যাম্বো চরিত্রটি অসাধারণ। আশা করি, তাঁরা মূল ছবিটাকে নষ্ট করবে না।’

আর এই টুইটের পরেই অনেকে ভাবতে শুরু করেন, ‘র‍্যাম্বো’র হিন্দি রিমেক হওয়ার খবরে নারাজ হয়েছেন সিলভেস্টার স্ট্যালন। টাইগার অভিনীত ‘র‍্যাম্বো’র পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর সেই গুজবকে একেবারে উড়িয়ে দিলেন স্ট্যালন। নতুন টুইটে শনিবার তিনি লিখেছেন, ‘কিছু মানুষ কথাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পছন্দ করে। টাইগারকে শুভকামনা। তোমার সেরাটা দিয়ে লড়াই করো টাইগার। নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য লড়ে যাও। যখন তরুণ কোনো শিল্পী তাঁর স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যায়, আমার খুব ভালো লাগে।’

এরপর এই হলিউড তারকা হিন্দি ‘র‍্যাম্বো’র পোস্টারটিও তাঁর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি জানান, টাইগার শ্রফ তাঁর ছবির হিন্দি সংস্করণে অভিনয় করায় তিনি দারুণ উচ্ছ্বসিত। এই চরিত্রে টাইগারের লুকের প্রশংসাও করেন তিনি।

বলাই বাহুল্য, অ্যাকশন-ধর্মী সিনেমা ও সিলভেস্টারের অন্ধভক্ত টাইগারের জন্য এই শুভকামনা প্রাপ্তি ছিল বিশাল ব্যাপার। তাই ফিরতি এক টুইটে প্রিয় অভিনেতাকে ধন্যবাদ জানাতে দেরি করেননি টাইগার। এখন স্ট্যালনের মান টাইগার কতটা রাখতে পারেন, সেটাই দেখার পালা। এর জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে ২০১৮ পর্যন্ত।

হলিউড অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালনের জনপ্রিয় সিরিজ ‘র‍্যাম্বো’ হিন্দিতে রিমেক করছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। এর আগে তিনি টম ক্রুজের ‘নাইট অ্যান্ড ডে’ ছবির রিমেক করে বানিয়েছিলেন ‘ব্যাং ব্যাং’। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন হৃতিক রোশন ও ক্যাটরিনা কাইফ।

সিলভেস্টার স্ট্যালন অভিনীত ‘র‍্যাম্বো’র শেষ কিস্তি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে। এটি বিশ্বজুড়ে আয় করেছিল ১১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর সিরিজের প্রথম ছবিটি বিশ্বজুড়ে আয় করেছিল ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জুম টিভি।