দেখেছি তিনি কতটা বিনয়ী: সুচন্দা

সুচন্দা
সুচন্দা

আমার ছোটবেলা কেটেছে যশোরে। তখন সেখানে কলকাতার ছবি প্রদর্শিত হতো। সুচিত্রা সেনের ছবির প্রতি আমার আগ্রহটা ছিল ভীষণ। আমার আগ্রহের কারণেই পরিবারের সবাই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখত। সুচিত্রা সেনের হাসি ও চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়াটাকে খুব খেয়াল করতাম। ছবি দেখার পর সারাক্ষণ চোখে ভাসত সুচিত্রা সেনের অভিনয়। তাঁকে দেখার পর ধীরে ধীরে একসময় মাথায় অভিনয়ের খেয়াল চাপল। বলতে পারেন, তাঁর জন্যই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। ক্যারিয়ার শুরু করার পরও তাঁর হাসি, সংলাপ বলার ধরন—সবই লক্ষ করতাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্চা করতাম।
বাংলা চলচ্চিত্রে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন অভিনীত ছবি দেখতে দেখতে একসময় মনের মধ্যে তাঁকে দেখার তীব্র আকাঙ্খা জন্ম নেয়। স্বপ্ন দেখতে থাকি কখন আমার আদর্শ সুচিত্রা সেনের সঙ্গে দেখা হবে। বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাঁকে সামনাসামনি দেখেছি। গল্পও করেছি তাঁর সঙ্গে। দূর থেকে যে যা-ই বলুক, আমি দেখেছি তিনি কতটা বিনয়ী। তাঁর মধ্যে অহংকারের কোনো বালাই নেই, নেই কোনো দম্ভ।
সুচিত্রা সেনকে দেখার পর যখন বললাম, ‘দিদি, আপনার জন্যই আজ আমি সুচন্দা হয়েছি।’ তিনি মানতেই চাইলেন না! উল্টো আমাকে বোঝালেন। বললেন, ‘তোমার মেধার কারণেই তুমি সুচন্দা। তোমার যোগ্যতা ছিল। হয়তো আমি তোমার চলার পথে অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করেছি। হয়তো আমাকে দেখে তুমি ইচ্ছাশক্তি বাড়িয়েছ। আর সে ক্ষেত্রে কৃতিত্ব তোমারই।’