হাবিবকে রাগ কমাতে বললেন তিশা

হাবিব ও তিশা
হাবিব ও তিশা

গায়ক ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদকে রাগ কমাতে বললেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা। হাবিবের দেওয়া ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল সোমবার হাবিব ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সিঙ্গেল লাইফ ইজ দ্য বেস্ট।’ মন্তব্যের ঘরে তিশা লেখেন, ‘ইউ আর নট সিঙ্গেল, এভরিওয়ান নোজ।’

সম্প্রতি হাবিব ওয়াহিদের দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তানজিন তিশার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সামনে চলে আসে। রেহান যখন তাঁর সাবেক স্বামীর সঙ্গে তানজিন তিশার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন, তখন হাবিব কনসার্ট করতে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। দেশের বাইরে থাকলেও হাবিব ফেসবুকে বলেছিলেন, তিশার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা একান্তই ব্যক্তিগত। এতে তাঁদের দুজনের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়।

গতকাল একাকী জীবন নিয়ে হাবিবের ফেসবুকে এমন পোস্ট প্রকাশের পর তাঁকে বেশ সমালোচনায় পড়তে হয়। ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি হাবিব ও রেহানের (হাবিবের দ্বিতীয় স্ত্রী) মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ঘর ভাঙা নিয়ে মডেল-অভিনেত্রী তানজিন তিশার দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে দেন রেহান চৌধুরী। বিষয়টি বেশ কিছু দিন আগে শোবিজ ও মিউজিক অঙ্গনে বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। যাঁর দিকে ঘর ভাঙার অভিযোগের আঙুল, সেই তানজিন তিশা হাবিবের এ স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সিঙ্গেল লাইফ বাবা?’ হাবিবও এর উত্তর দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘সরি?’ এরপর তিশা লিখেছেন, ‘রাগ কমাও। সবাই জানে তুমি সিঙ্গেল নও।’

হাবিব ও তানজিন তিশার ফেসবুকের স্ক্রিনশর্ট
হাবিব ও তানজিন তিশার ফেসবুকের স্ক্রিনশর্ট

হাবিবের সেই পোস্টে তির্যক মন্তব্যও আসতে থাকে। কেউ আবার হাবিবের পোস্টে এমন মন্তব্য দেখে তা মুছে ফেলার অনুরোধও করেন। এখন অবশ্য হাবিবের ওয়ালের সেই পোস্টটি দেখা যাচ্ছে না।

হাবিব এই স্ট্যাটাসের বিপরীতে লিখেছেন, ‘ভাইয়া, এটা শুধুই আমার ধারণা। এবং আমার এই ধারণা আমি আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আর তা হলো, সিঙ্গেল না থাকলেই অনেক সময় বোঝা যায় সিঙ্গেল থাকাই সবচেয়ে ভালো!’

২০১১ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের মেয়ে রেহান চৌধুরীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাবিব ওয়াহিদের। এরপর পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে ২০১২ সালে ২৪ ডিসেম্বর তাঁদের ঘর আলোকিত করে আসে একমাত্র সন্তান আলিম। হাবিব এরও আগে ২০০৩ সালে প্রথম লুবায়না নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তাঁর।