‘ল্যাম্পপোস্ট’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ভালো সাড়া পাচ্ছি। অনেকে ফোন করছেন। মুঠোফোনেও খুদে বার্তা আসছে। আর নির্মাতা হিসেবে সাগর জাহানের কাজ তো খুব ভালো।
কিন্তু দুই-তিন মাস ধরে আপনি কম কাজ করছেন?
আমার ব্যক্তিজীবনের কিছু বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তাই মানসিকভাবে একটু ভেঙে পড়েছিলাম। শেষ দু-তিন মাসে সেটা আরও বেড়েছিল। আমি এত দিন বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলিনি, কারণ আমি চাইনি এটা নিয়ে অকারণে জল ঘোলা হোক।
কী ধরনের ঝামেলা, বলা যাবে?
কেন নয়? আমি যে আজকের বাঁধন, সেটা তো আমার ভক্তদের সৃষ্টি। আমার যেকোনো বিষয়ই তাঁদের জানার অধিকার আছে। আমার স্বামীর সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে আমার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবু আমার মেয়ের স্বার্থে মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হতো। আমি চেয়েছিলাম আমাদের সম্পর্কের অবনতির কারণে বাচ্চার মানসিক বিকাশ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। কিন্তু তেমনটা হয়নি। উল্টো আমার বিরুদ্ধেই নানা ধরনের মামলা করা হয়েছে। পরে যদিও সেসব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখন আমার মেয়েকে কানাডায় নিয়ে যেতে চায়। এই দেশে নাকি মেয়ের ভবিষ্যৎ নেই। এই দেশে এত বাচ্চা মানুষ হলে আমার মেয়ে কেন পারবে না, বলুন? আসলে আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছিলাম।
আপনি কোনো ব্যবস্থা নেননি?
কিছুদিন আগে পারিবারিক আদালতে মামলা করেছি। সেটা চলছে। আমি এক দিকে মেয়েকে সামলাচ্ছি, মামলা লড়ছি, আরেক দিকে কাজ করার চেষ্টা করছি। আমি আমার দুঃসময়ে কিছু মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বাবা-মা, দুই ভাই, মেয়ের স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবকেরা, আমার সহকর্মী, পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আমাকে প্রচুর মানসিক সমর্থন দিয়েছেন। আসলে এ রকম পরিস্থিতে যিনি না পড়বেন তিনি বুঝতে পারবেন না একটা মেয়ে কতটা অসহায় হয়ে পড়ে।
এখন নতুন করে কিছু ভাবছেন?
আমি এসব ঝামেলা চুকিয়ে আবার মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে চাই। আমার সব স্বপ্ন মেয়েকে নিয়ে। ওকে দেশের নামকরা একটা স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। ও পড়াশোনায় খুবই ভালো। ওকে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।
সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক