মঞ্চের আলো জ্বলবে আজ সন্ধ্যায়

মূল মঞ্চে গতকাল সন্ধ্যায় অনুশীলন করে কাজাখস্তানের আস্তানা  সিম্ফনি ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রা। আজ এই দলের পরিবেশনা দিয়ে  শুরু হবে উৎসব l ছবি: আবদুস সালাম
মূল মঞ্চে গতকাল সন্ধ্যায় অনুশীলন করে কাজাখস্তানের আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রা। আজ এই দলের পরিবেশনা দিয়ে শুরু হবে উৎসব l ছবি: আবদুস সালাম

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আবাহনী মাঠে চলছিল এ উৎসবের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। গত সন্ধ্যায় সেখানে নিজেদের প্রস্তুতি শেষবারের মতো ঝালিয়ে নিতে দেখা গেছে কাজাখস্তানের অর্কেস্ট্রা দল আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমনিককে। সঙ্গে ছিলেন খ্যাতিমান বেহালাশিল্পী ড. এল সুব্রামানিয়াম। এ বছরের উৎসব শুরু হবে এই দলের বাদনের মধ্য দিয়ে।

শেষ সময়ের প্রস্তুতির মুহূর্তে কথা হয় বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সংগীতের ভিত্তি হচ্ছে উচ্চাঙ্গসংগীত। আমাদের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীরা এ উৎসবটিকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন, তাতে জাতির ভরসা বেড়ে গেছে বলে আমার বিশ্বাস। না হলে ১১ ঘণ্টা করে প্রায় ৫৫ ঘণ্টা তরুণেরা গান শুনতে পারবে এটা কেউ ভাবেনি। এ থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে সব সম্ভব। মানুষ ভালো জিনিস সানন্দে গ্রহণ করে। এটাই আমার সব থেকে বড় প্রাপ্তি। এ ছাড়া আমরা একটি সংগীতের স্কুল করেছি। সেখান থেকেও রশিদ খানের মতো শিল্পী বের হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর একটি ব্যতিক্রম পরিবেশনা দিয়ে উৎসব শুরু হবে। ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যালের সঙ্গে ভারতীয় উচ্চাঙ্গসংগীতের কোলাবরেশন। আমাদের শ্রোতারা ভারতীয় উচ্চাঙ্গসংগীতের সঙ্গে পরিচিত। এটি তাদের কেমন লাগবে জানি না, আশা করি ভালোই লাগবে। এ সংগীত উপভোগের মধ্য দিয়ে তাঁদের নতুন উপলব্ধি সৃষ্টি হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

আজ সন্ধ্যায় উৎসব উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, সাংসদ ফজলে নূর তাপস, আবাহনী লিমিটেডের সভাপতি সালমান এফ রহমান, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।

এ বছর উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে গবেষক, চিন্তাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। এর মধ্য দিয়ে জীবদ্দশায় গুণীজনকে শ্রদ্ধা জানানোর নজির সৃষ্টি করল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। আজ শুরু হয়ে উৎসব চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত।

আজ প্রথম সন্ধ্যায় সরোদে যন্ত্রসংগীত
পরিবেশন করবেন রাজরূপা চৌধুরী, সেতারে ফিরোজ খান, খেয়াল গাইবেন বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকার, সুপ্রিয়া দাস, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়। এ ছাড়া বাঁশি ও সেতারে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন রাকেশ চৌরাসিয়া ও পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায়।

আগামীকাল কত্থক নৃত্য পরিবেশন করবে অদিতি মঙ্গলদাস ড্যান্স কোম্পানি, সন্তুরে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, খেয়াল গাইবেন পণ্ডিত উলহাস কাশালকার, সেতারে ওস্তাদ শহিদ পারভেজ খান, ধ্রুপদ গাইবেন অভিজিৎ কুণ্ডু ও বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়। বাঁশি ও সরোদ পরিবেশন করবেন পণ্ডিত রুনু মজুমদার ও পণ্ডিত দেবজ্যোতি বসু। এ সন্ধ্যায় যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের তবলা, সেতার ও সরোদের শিক্ষার্থীরা। সুপ্রিয়া গাইবেন খেয়াল এবং অভিজিৎ গাইবেন ধ্রুপদ। 

আজ প্রথম সন্ধ্যায় সরোদে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন রাজরূপা চৌধুরী, সেতারে ফিরোজ খান, খেয়াল গাইবেন বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকার ও বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিল্পী সুপ্রিয়া দাস। এ ছাড়া বাঁশি ও সেতারে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন রাকেশ চৌরাসিয়া ও পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায়।

আগামীকাল কত্থক নৃত্য পরিবেশন করবে অদিতি মঙ্গলদাস ড্যান্স কোম্পানি, সন্তুরে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, খেয়াল গাইবেন পণ্ডিত উলহাস কাশালকার, সেতারে ওস্তাদ শহিদ পারভেজ খান, ধ্রুপদ গাইবেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিল্পী অভিজিৎ কুণ্ডু। বাঁশি ও সরোদ পরিবেশন করবেন পণ্ডিত রনু মজুমদার ও পণ্ডিত দেবজ্যোতি বসু। এ সন্ধ্যায় তবলা পরিবেশন করবেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা।