তানহার হ্যাটট্রিক

‘আগের দুটি ছবি থেকে এই ছবিটি নিয়ে বেশি আশাবাদী আমি। এ জন্য প্রচার-প্রচারণাটাও বেশি চালাচ্ছি। আমি চাই মুক্তির আগেই ছবিটির খবরাখবর বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাক,’ বললেন তানহা তাসনিয়া। আগামীকাল ৯ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রায় শতাধিক হলে মুক্তি পাচ্ছে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ভালো থেকো ছবিটি। ছবিতে আরিফিন শুভর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। গত সোমবার সন্ধ্যায় এসেছিলেন প্রথম আলো কার্যালয়ে।

তানহার প্রথম ছবি ভোলা তো যায় না তারে মুক্তি পায় ২০১৬ সালের শুরুতে। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পায় দ্বিতীয় ছবি ধূমকেতু। কিন্তু ছবি দুটি থেকে অতটা সাফল্য আসেনি তাঁর। এ কারণে তিন নম্বর ছবি ভালো থেকো ভরসার জায়গা হতে যাচ্ছে তানহার।

ভরসার কারণটা আড্ডার শুরুতেই জানতে চাইলাম। তানহা বলেন, ‘এই ছবিতে আছে ভালো একটি মৌলিক গল্প। সঙ্গে পেয়েছি একজন ভালো পরিচালক, ভালো একজন সহশিল্পী। যাঁদের কাছ থেকে শিখেছি, জেনেছি। তাঁদের সহযোগিতা নিয়ে শুটিংয়ের সময় নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছি। তা ছাড়া আগের দুটি ছবির চেয়ে এই ছবিতে আমার অভিনয়ের পরিপক্বতাও পাবেন দর্শকেরা।’

তানহা বলেন, একটি ভালো ছবির বেলায় পরিচালক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথা, শুধু গল্প ভালো হলেই হবে না, পরিচালকের হাতে গল্পের উপস্থাপনও দৃষ্টিনন্দন হতে হবে।

কিন্তু এই ছবিতে এমন নতুন কী আছে যে দর্শকেরা দল বেঁধে হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন? এ প্রসঙ্গে তানহা বলেন, ঢাকার চলচ্চিত্রে পারিবারিক আবেগ-অনুভূতির ছবি অনেক দিন হয় না। সেই ছবিই এটি। পাশাপাশি গানগুলোও দর্শকদের ভালো লাগবে।

ছুঁয়ে দিলে মন ছবিটি হলে গিয়ে দেখেছিলেন তানহা। সেখান থেকেই ছবির নায়ক আরিফিন শুভর ভক্ত হয়েছিলেন তিনি। মনে মনে স্বপ্ন দেখেছিলেন, কোনো দিন যদি শুভর বিপরীতে ছবিতে কাজের সুযোগ হয়! সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাঁর।

তানহা বলেন, ‘শুভর বিপরীতে কাজ করার সুযোগ হবে, ভাবনাটা শুধু স্বপ্নেই ছিল। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালো লাগার কথা বলে বোঝাতে পারব না। শুটিংয়ের দিনগুলোতে প্রতি মুহূর্তেই তাঁর কাছ ভালো কাজের উৎসাহ পেয়েছি, সহযোগিতা পেয়েছি।’

ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি শুভর বিপরীতে একজন নতুন নায়িকাকে খুঁজছিলেন। তবে প্রযোজকের কথা ছিল, নতুনদের মধ্যে পরিচালক যাঁকে মনে করবেন, তিনিই হবেন ভালো থেকো ছবির নায়িকা। তানহা এই ছবিতে তাঁর নায়িকা হওয়ার গল্প বললেন এভাবে। ‘ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়ার সঙ্গে আমার আগেই পরিচয় ছিল। তবে সবকিছুই পরিচালকের ওপর নির্ভর করছিল। পরিচালক রাজু স্যার একদিন আমাকে ডেকে ছবির গল্প শোনালেন। তারপর নীলা চরিত্রটি নিয়ে আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বললেন। শেষে তিনি জানান, ছবির গল্পের জন্য আমাকেই তাঁর প্রয়োজন।’

সেই প্রয়োজন থেকে পুরোদস্তুর নায়িকা হয়ে যাওয়া তানহা আগামীকাল যাবেন বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে মুক্তির প্রথম দিন বলাকা, শ্যামলী, চম্পাকলিতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তাঁর।