যেখানে নেমে এসেছিল সব তারা

মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা-২০১৮ পেলেন চিত্রনায়িকা ববিতা। তাঁর হাতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। ছবি: আবদুস সালাম
মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা-২০১৮ পেলেন চিত্রনায়িকা ববিতা। তাঁর হাতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। ছবি: আবদুস সালাম

কেউ লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন বলল না। কোনো স্ক্রিপ্ট নেই। দরকার পড়ল না গ্লিসারিনের। জীবনের অসংখ্যবার অন্য কারও ভূমিকায় অভিনয় করা ববিতা যে আজ একদিনের জন্য নিজের চরিত্রেই থাকলেন। বললেন নিজের গল্প। শৈশবে মা হারানোর কথা। বললেন, কীভাবে তাঁর বড় বোন সুচন্দা মায়ের আঁচল বিছিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর জন্য। বললেন ছোট বোন চম্পা কীভাবে এখন পালন করেন মায়ের, অভিভাবকের দায়িত্ব। তাঁর গলা কাঁপল। একটু বোধ হয় সামলে নিলেন নিজেকে। অবাধ্য চোখের জলকে সামলে নিতে ওই একটু মুহূর্তের জন্য অভিনয়টা করলেন যেন। পুরো হল ঘর তখন দাঁড়িয়ে গেছে তাঁর সম্মানে।

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭ সালের আজীবন সম্মাননা পেলেন গুণী এই অভিনয়শিল্পী। জীবনের সবচেয়ে আবেগময় মুহূর্তগুলোর একটিতে পাশে পেলেন দুই বোনকে, নিজ নিজ নামে যাঁরা উজ্জ্বল। যাঁরা এখনো জ্বলজ্বলে তারকা।

চলচ্চিত্র, টিভি, সংগীতাঙ্গনের সব তারকা একদিনের জন্য মিলে গেলেন এক ছাদের নিচে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আজ সত্যিকার অর্থে হয়ে উঠল সম্মিলনের সভা। সমালোচকেরা পুরস্কৃত করলেন। আসল বিচারক যাঁরা, সেই পাঠকদের রায়েও নির্বাচিত সেরা তারকারা হাতে তুললেন সোনালি ট্রফি। যে ট্রফিটা জন্ম দেয় অনুপ্রেরণার, আরও ভালো কিছু করার। সে কথা বললেন শিল্পীরা, অতিথিরাই। চলচ্চিত্র তারকা ফেরদৌস ও পূর্ণিমার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায়, নাচে-গানে-আয়োজনে সবাই দারুণ উপভোগ করলেন আজকের সন্ধ্যা।

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭। তারকা জরিপে সেরা অভিনেতা হয়েছেন আরেফিন শুভ। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। হল অব ফেম, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, ৩০ মার্চ।  ছবি: আবদুস সালাম
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭। তারকা জরিপে সেরা অভিনেতা হয়েছেন আরেফিন শুভ। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। হল অব ফেম, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, ৩০ মার্চ। ছবি: আবদুস সালাম

ঠিক সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক সবাইকে স্বাগত জানালেন। এটা বাঙালি টাইম নয়, মেরিল-প্রথম আলোর টাইম। ছয়টার অনুষ্ঠান এখানে ছয়টাতেই শুরু হয়। যার শুরুটা ছিল বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় কিরওয়ানী রাগের ২০ মিনিটের এক পরিবেশনা দিয়ে।

২০ মিনিটের টানা উচ্চাঙ্গ বাজনার কারণও ছিল। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের এবারের আয়োজন ছিল বিশেষ। ২০ বছর পূর্ণ করল এ অনুষ্ঠান। শুরুর সেই দিনগুলোর কথা বললেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। স্মরণ করলেন এই দীর্ঘযাত্রায় এ আয়োজনের সঙ্গে ছিলেন এমন প্রয়াত কিংবদন্তিদের। বললেন, ‌‌‘একটি জাতির স্বপ্ন নির্মাণ করেন শিল্পীরা। মনন তৈরি করেন শিল্পীরা। আমাদের নাটক-সিনেমা-গান আরও উন্নত হোক। আসুন সবাই মিলে নতুন জোয়ার তৈরি করি। আলোকিত বাংলাদেশ তৈরি করি। আমরা চাই বাংলাদেশের জয়।’

সহ-আয়োজক স্কয়ার টয়লেট্রিজের পক্ষ থেকে বিপণন প্রধান জেসমিন জামান বললেন, ‘তারকারা আমাদের হাসান, কাঁদান। আজ এত এত তারকাদের একসঙ্গে দেখতে পাচ্ছি। এই অনুষ্ঠান হয়তো একদিনের। কিন্তু এর পেছনে প্রথম আলোর সারা বছরের শ্রম ও নিষ্ঠার কথা আমরা জানি। জানি কতটা নিরপেক্ষভাবে এই বিচার কাজ করা হয়। শিল্পীদের সম্মানিত করার, অধিকার আদায় করার এই প্রচেষ্টায় আমরা সব সময় থাকব। আমাদের শিল্পীরা প্রাপ্য সম্মান ও সম্মানী পাচ্ছেন কি না, এ নিয়েও আমরা ভবিষ্যতে কাজ করব।’

জুরি বোর্ডের প্রধান রামেন্দু মজুমদার গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বললেন, ‘আমাদের দর্শকেরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, ভিনদেশি চ্যানেল দেখছেন এর দায় শুধু দর্শকদের নয়। প্রতিদিন ২৫০-৩০০টির মতো নাটক যদি নির্মাণ হয়, এ পরিমাণ নাটক বানানোর দক্ষতা আমাদের আছে কি না, তা ভাবার। টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষদের বলব, আপনারা মান নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষ করে দেখবেন। অনেক ভালো নাটক এখনো হচ্ছে। কিন্তু খারাপের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে।’

মেরিল-প্রথম আলো ২০১৭ পুরস্কার। তারকা জরিপে সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছে নুসরাত ইমরোজ তিশা। তাঁর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন চিত্রনায়িকা শাবনূর ও পপি। হল অব ফেম, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, ৩০ মার্চ।  ছবি: আবদুস সালাম
মেরিল-প্রথম আলো ২০১৭ পুরস্কার। তারকা জরিপে সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছে নুসরাত ইমরোজ তিশা। তাঁর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন চিত্রনায়িকা শাবনূর ও পপি। হল অব ফেম, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, ৩০ মার্চ। ছবি: আবদুস সালাম

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় ট্যাংগো-সালসার ছন্দে। ফেরদৌস দারুণ নাচেন নবাগত নায়িকা পূজাকে সঙ্গে নিয়ে। এরপর পরই বিশাল বাদ্যবাজনা নিয়ে রিকশায় চেপে আতশবাজির ফোয়ারা ছুটিয়ে হাজির হন পূর্ণিমা। গতবারও এ দুজন উপস্থাপনা করেছিলেন। কিন্তু শুরুতে দুজনে বেঁকে বসেন একসঙ্গে উপস্থাপনা করবেন না বলে। ফেরদৌস তো এক বিদেশিনীকে নিয়ে হাজির হন, তাঁকে নিয়ে উপস্থাপনা করবেন বলে। ওদিকে পূর্ণিমাও গোঁ ধরে আছেন, উপস্থাপনা তিনি একাই করবেন।

দর্শকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা। এভাবে চললে অনুষ্ঠানই বা এগোবে কী করে! তখনই বজ্রপাত! কড়াৎ কড়কড় শব্দে পূর্ণিমা ভয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন ফেরদৌসকে। বজ্রপাতের এই একটা উপকারী দিক পাওয়া গেল। দুজনের মধ্যে বাকিটা সময় মিষ্টি খুনসুটি দিয়ে এগিয়ে গেল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে একটা পর্যায়ে দীর্ঘ সময় ধরে ববিতার বেশ ধরে মিমিক্রি করে গেছেন পূর্ণিমা। দর্শকদের বাহবা কুড়িয়েছে তাঁর এই ‘ক্লোন ববিতা’ হয়ে থাকা।

এবার অন্তত দুটি পুরস্কার পেয়েছেন যারা তারকার ঝলমলে গ্ল্যামার থেকে অনেক দূরে থাকেন। একজন সবিতা সেন, বিচারকদের রায়ে সেরা অভিনেত্রী। মার্চ মাসে শুটিং-এ যাঁর অভিনয় ছিল অনবদ্য। বিচারকদের রায়ে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হয়েছেন রুনা খান। যে রুনা বলেছেন, ‘আমি মফস্বল থেকে ঢাকায় এসেছিলাম শুধু মাত্র অভিনেত্রী হব বলে। ক্যারিয়ার শুরু করেছি অনেক ছোট ছোট চরিত্র দিয়ে। অনেকের হয়তো চোখেই পড়েনি। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে এসেই এই পুরস্কার পেলাম। বিশেষ করে তিশা ও জয়াকে হারিয়ে এই পুরস্কার পাব ভাবিইনি।’

রুনা মঞ্চে ওঠার সময় মঞ্চ ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, এই দৃশ্যটাও চোখে লেগে আছে এখনো। আর রুনার হাতে পুরস্কার দিতে উঠে অভিনেতা আলমগীর পেছন ঘুরে দর্শকদের স্যালুট ঠুকেছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন, তারকারা হয়তো অনেক দূরে থাকে বলেই তাদের তারা বলা হয়। কিন্তু তারকাদের তারা বানায় মাটির মানুষেরাই।

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭-এর চূড়ান্ত পর্বে পাঠকের বিচারে সেরা টিভি অভিনেতার পুরস্কার নিচ্ছেন অপূর্ব। ‘বড় ছেলে’ নাটকে অভিনয়ের জন্য এ স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, ৩০ মার্চ। ছবি: আবদুস সালাম
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭-এর চূড়ান্ত পর্বে পাঠকের বিচারে সেরা টিভি অভিনেতার পুরস্কার নিচ্ছেন অপূর্ব। ‘বড় ছেলে’ নাটকে অভিনয়ের জন্য এ স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, ৩০ মার্চ। ছবি: আবদুস সালাম

প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকা আকরাম খান যেমন বিচারকদের রায়ে সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক (খাঁচা) হয়েছেন। নবীনদের মধ্যে পুরস্কার জিতেছেন ঢাকা অ্যাটাকে নেতিবাচক চরিত্র করে আলোচনায় আসা তাসকিন। তাসকিনকে মনে হচ্ছিল যেন ঘোরের মধ্যে আছেন। একটু আগে নেচে গেছেন চাঁদ নিয়ে করা ধারাবাহিক গানের একটি পর্বে। এরপর পরই এমন ঝলমলে মঞ্চে এত ভিড়ের সামনে পুরস্কার পাওয়া। নাম ঘোষণার আগেই চলে এসেছিলেন। আবার নেমে যেতে যেতেই ঘোষিত হয়েছে তাঁরই নাম।

অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম বিচারকদের রায়ে সেরা অভিনেতার পুরস্কার নিতে গিয়ে বলেছেন, ‌‌‘অনেকবার মনোনয়ন পেয়ে খালি হাতে ফিরেছি। অবশেষে আজ পুরস্কারটা পেলাম। পুরস্কারটার ওজন আছে কিন্তু!’

ঝলমলে জীবনের পেছনেও যে মূলধারার তারকাদের সংগ্রামের গল্প অনেকের অজানা থাকে, সে কথা বলেছেন অনুষ্ঠানের শেষ পুরস্কার জয়ী আরেফিন শুভ। পাঠকদের ভোটে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার (ঢাকা অ্যাটাক) নিতে গিয়ে শুভ বলেছেন, ‘আসন না পেয়ে চারদিকে দাঁড়িয়ে যাঁরা দেখছেন কষ্ট করে এতটা সময় ধরে, আমিও একদিন ওদের ভিড়েই কিন্তু ছিলাম।’

সব শিল্পী মিলে যে একটা পরিবার, সেই ছবিটাও বারবার ভেসে উঠেছে। পাঠকদের ভোটে সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয়ে মঞ্চে ওঠার সময় অপূর্বকে যেমন থামিয়েছেন এই বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া সিয়াম। জড়িয়ে ধরেছেন আবেগে। সেরা গায়িকার পুরস্কার পাওয়া মমতাজ বলেছেন, ‘গায়ক হয়তো পুরস্কার আর হাততালি পায়। আসল বাহবা পাওনা গানটা যিনি লেখেন, সুর করেন, আর যাঁরা বাজান তাঁদের।’

সেরা গায়ক হিসেবে পাঠকেরা বেছে নিয়েছেন জেমসকে (তোর প্রেমেতে অন্ধ)। ক্যারিয়ারের এতগুলো বছর পেরিয়েও জেমস এখনো কী ভীষণ জনপ্রিয়! আজকের সন্ধ্যায় সবচেয়ে বেশি হাততালি তাঁর নামেই বরাদ্দ ছিল।

পাঠকের বিচারে সেরা টিভি অভিনেত্রীর পুরস্কার নিচ্ছেন মেহজাবিন। ‘বড় ছেলে’ নাটকে অভিনয়ের জন্য এ স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, ৩০ মার্চ। ছবি: আবদুস সালাম
পাঠকের বিচারে সেরা টিভি অভিনেত্রীর পুরস্কার নিচ্ছেন মেহজাবিন। ‘বড় ছেলে’ নাটকে অভিনয়ের জন্য এ স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, ৩০ মার্চ। ছবি: আবদুস সালাম

পুরস্কার পাননি এমন তারকাদের সংখ্যাই ছিল বেশি। তবে এত এত ব্যস্ততার মধ্যে এক পরিবারের হয়েও সবার সঙ্গে সবার দেখা তো হয় না। ক্রিকেটের অঙ্গন থেকে সাকিব আল হাসান যেমন এসেছিলেন স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে নিয়ে। তিনি পুরস্কার তুলে দিয়েছেন বিচারকের রায়ে সেরা অভিনেতা রওনক হাসানকে। মজা করে বলেছেন, ‘আমিও তো অভিনয় কম করি না। সেসব অবশ্য বিজ্ঞাপনে। এখানে এসে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‌বিজ্ঞাপনের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয় না?’

অনুষ্ঠান মাতিয়ে অনেক দিন পর ভক্তদের স্মৃতিকাতর করে দিয়েছেন পপি। চাঁদ নিয়ে তিন জুটির গানে নেচেছেন সিয়াম, তানজিন তিশা, তাসকিন রহমান, সাবিলা নূর, অপূর্ব ও মেহজাবিন। মেহজাবিন আর অপূর্ব দুজনই এক ‘বড় ছেলে’ দিয়ে পাঠকদের ভোটের বন্যায় ভেসেছেন। ঢাকার যানজট নিয়ে অসাধারণ গান করেছেন প্রীতম, মিনার, শেহতাজ, জেফার, ঐশি, দোলা, ইমরান, কিশোর, কণা ও বালাম। অনুষ্ঠানের শেষটা হয়েছে ধনধান্যে পুষ্পভরা গানের সমবেত নাচ দিয়ে। স্মরণ করা হয়েছে, এই মার্চ মাসে লাল-সবুজ পতাকা আর এই সুন্দর দেশটা রক্তের দাম দিয়েই কেনা হয়েছে।

সেই বাংলার, বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সময় এসে গেছে। এক ববিতার মধ্যে সেই সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা পরিচালক সত্যজিৎ রায়। এখনকার তরুণদের মধ্যেও আছে সেই সম্ভাবনা। সেই উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের আয়োজন। বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় শুরু যে অনুষ্ঠান প্রতি পরতে ছড়িয়েছে স্নিগ্ধতা।