'অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার' নিয়ে প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়া যাবে চার নম্বরে?

অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার ছবির দৃশ্য
অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার ছবির দৃশ্য

১০ বছর ধরে একটু একটু করে দর্শকমনে সাম্রাজ্য গড়েছে মার্ভেল অতিমানবেরা। এবার সবাই একজোট হয়ে এসেছে এক পর্দায়। ২৭ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’। অনেক সাধনার পর ছবির টিকিট যাঁরা পেয়েছেন, এরই মধ্যে হয়তো তাঁদের কষ্ট সার্থক হয়েছে। যাঁরা এখনো দেখেননি, কথা দিচ্ছি, কোনো চমক ফাঁস করে দেব না।

একটা প্রজন্মের কাছে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ছবি মানে তাঁদের শৈশব, কৈশোর, তারুণ্যের একটা ‘টাইমলাইন’। সেই ২০০৮ সালের ‘আয়রনম্যান’ থেকে শুরু। তখন তো ঢাকায় ছিল না এমন থ্রিডি প্রযুক্তিতে ছবি দেখার উপযোগী মাল্টিপ্লেক্স। আর এখন? ১০ বছর পরের ঢাকায় ত্রিমাত্রিকে দেখা যাচ্ছে অ্যাভেঞ্জার্স! এই অনুভূতি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকতেই গায়ে কাঁটা দেয়।

কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ‘থর’ কিংবা ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ দেখা না থাকলে ছবির শুরু থেকেই খানিকটা খাপছাড়া লাগতে পারে। তাই যাঁরা মার্ভেল-যাত্রা শুরুই করছেন ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’ দিয়ে, তাঁদের একটু ‘হোমওয়ার্ক’ করতে হবে। দেখে নিতে হবে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের আগের ছবিগুলো।

২০১২ সালের প্রথম অ্যাভেঞ্জার্স-এর পর থেকেই দর্শক থানোসের অপেক্ষায় ছিল। জশ বোরলিন অভিনীত এই চরিত্রকে দেখার যে আকাঙ্ক্ষা এত দিনে মনে জমেছে, তা ভালোভাবেই পূরণ হলো। কী নেই এই থানোসে? রাগ, আবেগ, প্রভাব, ক্রোধ, ভালোবাসা-সুপারহিরোদের উড়িয়ে দেওয়ার মতো সুপারভিলেন তো এমনই হয়।

হতাশ করতে পারে ছবির আবহসংগীত। কারণ গান ও আবহসংগীত দিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ব্ল্যাক প্যান্থার যে আলোড়ন তুলেছিল, তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’। একটা দৃশ্যে চেষ্টা করেছে কালজয়ী গান দিয়ে ‘গার্ডিয়ান অব গ্যালাক্সি’র ঐতিহ্য ধরে রাখতে। কিন্তু মন ভরার আগেই কয়েক সেকেন্ডে পেরিয়ে যায় সেই দৃশ্য। এবার আসি গল্পে। মার্ভেল হতাশ করেনি। রসবোধের যে খ্যাতি মার্ভেলের আছে, সেই ধারা বজায় ছিল এবারও। পাক্কা ১০ বছর সময় নিয়ে ‘ইনফিনিটি ওয়ার’-এর প্লট সাজিয়েছে তারা। প্রতিটি চরিত্রই মার্ভেলভক্তদের চেনা, পরিচিত। তাই তো ‘বুড়ো’ টনি স্টার্কের সঙ্গে এই তো সেদিনের ‘স্টার লর্ড’কে বাহাস করতে দেখে বেখাপ্পা লাগেনি। পুরোনো কাসুন্দির মতোই এই ছবির গল্প একদম ঝাঁজালো।

শেষটা নিয়ে কী আর বলা যায়। যাঁরা এরই মধ্যে দেখে নিয়েছেন ছবিটা, তাঁরা একমত হবেন হয়তো-একটা অতৃপ্তি থেকেই গেল। চোখের তেষ্টা আর মনের ভেতর ছটফট করা প্রশ্নগুলোর জবাব সামনের চার নম্বর ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই মিলবে না। এক অপেক্ষার শেষে আরেক অপেক্ষার শুরু!