তাঁদের ধৈর্যের জায়গাটা অনেকটাই কম: ইমি

ইমি
ইমি
>

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ‘এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল ২০১৮’ অনুষ্ঠিত হলো। সেখানে ‘এশিয়া মডেল স্টার’ হিসেবে ১৪টি দেশের মডেলের সঙ্গে বাংলাদেশি মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমি পান সংবর্ধনা পুরস্কার। কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

পুরস্কার পেয়ে কেমন লাগছে?
আন্তর্জাতিকভাবে এটি আমার প্রথম অর্জন। প্রায় ১৬ বছর ধরে এ ক্ষেত্রে কাজ করছি। এমন একটি সময়ে এসে এই পুরস্কার পেয়েছি, যখন আমি এমন কিছুর স্বপ্ন দেখছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ থেকে আমিই প্রথম এই পুরস্কার পেলাম।

কীভাবে এই আয়োজনে যুক্ত হলেন?
কোরীয় মডেল অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত এজেন্সির সঙ্গে এশিয়ার যেসব দেশের মডেল এজেন্সি যৌথভাবে কাজ করে, তারা যৌথভাবে সেই সব দেশের একজন সেরা র‍্যাম্প মডেলকে খুঁজে বের করে সংবর্ধনা পুরস্কারের তালিকায় নাম দেয়। বাংলাদেশের ক্রস ওয়াক ও কোরিয়ার করবান এজেন্সি যাচাই-বাছাই করে ১৫টি দেশের ১৫ জন মডেলের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে আমার নামটি পাঠিয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে সহযোগিতা করেছেন আজরা মাহমুদ।

উৎসবে আপনি ক্যাটওয়াক করেছেন?
হ্যাঁ। ৬ মে উৎসবের শেষ দিন গালা নাইটে ২৭টি দেশের মডেলদের নিয়ে আয়োজন ছিল। ওই অনুষ্ঠানে একটি আলাদা রানওয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে ১৫টি দেশের মডেলদের সংবর্ধনা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। সেই সময় রানওয়েতে আমরা ৫ জন করে ৩টি দৃশ্যে ১৫ জনই ক্যাটওয়াক করেছি।

বাংলাদেশে র‍্যাম্প মডেলিংয়ে কাজের পরিধি বাড়ছে?
অবশ্যই। এখন আমরা র‍্যাম্প মডেলরা যেভাবে কাজ করছি, ১০-১৫ বছর আগে তা কল্পনাও করা যায়নি। তবে একটা কথা ঠিক যে যাঁরা এখন এখানে র‍্যাম্প মডেল হিসেবে কাজ করছেন, তাঁদের ধৈর্যের জায়গাটা অনেকটাই কম।

আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের র‍্যাম্প মডেলরা অনেকটাই পিছিয়ে। মানবেন?
অবশ্যই না। আমরা শো হয়তো কম করি, কিন্তু গুণগত মানের দিক থেকে কোনোভাবেই আমরা পিছিয়ে নই।

নাটকে অভিনয় কমে গেল কেন? কাজ পাচ্ছেন না?
না, তা নয়। বাবার অসুস্থতার কারণে বিয়ের আগে থেকে নাটক কম করছিলাম। আবার শুরু করব।

বিয়ের পর মডেল কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারে?
কাজের প্রতি সততা, আন্তরিকতা থাকলে অবশ্যই পারেন। আমি তো বিয়ের পরই পুরস্কারটা পেলাম।