বাংলাদেশে ১০৯, ভারতে ৭৫

‘ভাইজান এলো রে’ ছবির দৃশ্যে শাকিব খান ও দীপা খন্দকার ছবি: সংগৃহীত
‘ভাইজান এলো রে’ ছবির দৃশ্যে শাকিব খান ও দীপা খন্দকার ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পাশাপাশি একই সময়ে বাংলাদেশেও মুক্তির কথা ছিল শাকিব খানের নতুন ছবি ‘ভাইজান এলো রে’। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় শেষ পর্যন্ত ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে নিয়ম মেনেই শুক্রবার থেকে সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘এন ইউ আহমেদ ট্রেডার্স’-এর পক্ষ থেকে অনন্য মামুন জানিয়েছেন, শাকিব খানের ছবিটি এখন পর্যন্ত দেশের ১০৯টি প্রেক্ষাগৃহের মালিক প্রদর্শনের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। অনেক প্রেক্ষাগৃহ মালিক তো উচ্চমূল্যে (এমজি) প্রদর্শন করছেন।

‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি গত রোজার ঈদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশে মাত্র ৭৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। একই সময়ে সেখানে মুক্তি পায় টলিগঞ্জের আরেক নায়ক জিতের ‘সুলতান দ্য স্যাভিয়র’ এবং বলিউডের সালমান খানের ‘রেস থ্রি’। প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি জানান, পশ্চিমবঙ্গে এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির মধ্যে জিৎ অভিনীত ‘সুলতান দ্য স্যাভিয়র’ ১৪২টি প্রেক্ষাগৃহে প্রথম ছয় দিনে ১ কোটি ৪৮ লাখ রুপি, শাকিব খানের ‘ভাইজান এলো রে’ ৭৫টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে ১ কোটি ৯ লাখ রুপি আর সালমান খানের ‘রেস থ্রি’ ছবিটি আয় করেছে ৬ কোটি ৮১ লাখ রুপি। পশ্চিমবঙ্গের যে কয়টি প্রেক্ষাগৃহে শাকিব খানের ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে, প্রথম সপ্তাহে ব্যবসায়িক দিক থেকে সালমান খানের ‘রেস থ্রি’র পরই জায়গা করে নেয়।

‘ভাইজান এলো রে’ ছবিতে দীপা খন্দকারের সঙ্গে শ্রাবন্তী আর পায়েল সরকার। ছবি: সংগৃহীত
‘ভাইজান এলো রে’ ছবিতে দীপা খন্দকারের সঙ্গে শ্রাবন্তী আর পায়েল সরকার। ছবি: সংগৃহীত

‘ভাইজান এলো রে’ ছবিতে নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে ভারতের কলকাতার শ্রাবন্তী ও পায়েল। এই ছবির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন বাংলাদেশের শাহেদ আলী, দীপা খন্দকার, মনিরা মিঠু এবং ভারতের রজতাভ দত্ত, সুপ্রিয় দত্ত, বিশ্বনাথ প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে কলকাতার এসকে মুভিজ, পরিচালক জয়দীপ মুখার্জি।

শাকিব খান বলেন, ‘শুধু চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে আমি কাজ করে চলছি। আমাকে বিনোদনের ফেরিওয়ালাও বলতে পারেন। দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাদেশ যেন সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সেই কাজটাই মন দিয়ে করে চলছি। আমার এই ছবি ভারতে প্রশংসা কুড়িয়েছে, কিন্তু নিজ দেশে বড় পর্দায় দর্শকেরা ছবিটি দেখতে না পারায় মনটা একটু খারাপ ছিল। যখন শুনলাম, প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা ছবিটি নিয়ে বেশ আগ্রহী তখন মনে হলো, এই বুঝি কষ্ট সার্থক। দর্শকের ছবি দর্শকের কাছে যাচ্ছে, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে।’

দুই বছর ধরে শাকিব খান দেশের বাইরেও কাজ করছেন। প্রথম ছবি ‘শিকারী’ দিয়ে বাজিমাত করেন বাংলাদেশ আর ভারতের কলকাতায়। এরপর মুক্তি পেয়েছে ‘নবাব’ ও ‘চালবাজ’ ছবি দুটি।