মঞ্চেও ঈদ উৎসব

‘জবর আজব ভালোবাসা’ নাটকের দৃশ্যে রামিজ রাজু ও সঙ্গীতা চৌধুরী
‘জবর আজব ভালোবাসা’ নাটকের দৃশ্যে রামিজ রাজু ও সঙ্গীতা চৌধুরী

ঈদের ছুটি শেষ হতেই আবার জমজমাট হওয়ার অপেক্ষায় ঢাকার নাটকপাড়া। ঈদের ছুটির পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বাতি জ্বলবে আগামীকাল রোববার। এদিন সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হবে থিয়েটারওয়ালা রেপার্টরি প্রযোজিত নাটক ‘জবর আজব ভালোবাসা’। পরদিন সোমবার একই সময়ে জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির আরেকটি প্রদর্শনী হবে।

আন্তন চেখভের ‘দ্য বিয়ার’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘জবর আজব ভালোবাসা’ নাটকের গল্প। অনুবাদ করেছেন মোবারক হোসেন খান। তিনটি চরিত্র নিয়ে নাটকটির গল্প। রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন সাইফ সুমন। মঞ্চে তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের রামিজ রাজু, নাট্যকেন্দ্রের সঙ্গীতা চৌধুরী আর থিয়েটার আর্ট ইউনিটের সাইফ সুমন।

সাইফ সুমন বলেন, ‘ঈদ উৎসবের রেশ ধরেই আমরা নাটকটির প্রদর্শনী করছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ঈদের পরদিন নাটকটির প্রদর্শনী করব। কিন্তু জাতীয় নাট্যশালা ঈদের ছুটিতে সরকারি বন্ধ থাকার কারণে রোববার প্রদর্শনী করছি। ঈদ উৎসবে টিভি চ্যানেলে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। সিনেমা হলে নতুন সিনেমা মুক্তি পায়। সংবাদপত্রগুলো ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে। মঞ্চেও তো ঈদকে ঘিরে উৎসব হতে পারে। গত বছর সৈয়দ জামিল আহমেদের নির্দেশনায় ঈদ উপলক্ষে “রিজওয়ান” নাটকের উৎসব দর্শকের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। আমরা মনে করি, প্রতিবছর ঈদে মঞ্চনাটকের উৎসব হওয়া উচিত। সেই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের পর আমরা “জবর আজব ভালোবাসা” নাটকের প্রদর্শনী করেছিলাম। এবার ঈদেও নাটকটির প্রদর্শনী করছি।’

‘জবর আজব ভালোবাসা’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, প্রয়াত স্বামীর শোকে সারাক্ষণ বিলাপ করতে থাকা গৃহকর্ত্রী প্রভার ওপর ভীষণ বিরক্ত বাসার কেয়ারটেকার সবুর। সবুরের কাছে জীবন মানে খাওদাও ফুর্তি করো। কিন্তু গৃহকর্ত্রী প্রভা মৃত স্বামীর শোকে এতটাই কাতর যে দিন-দুনিয়া ভুলে গৃহবন্দী জীবন যাপন করেছ। সে বাসার বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা, বাসায় কেউ এলে দেখা পর্যন্ত করে না। একদিন সন্ধ্যায় কাঁটাবনের পশুর খাবারের ব্যবসায়ী নাভিদ বাসায় আসে প্রভার সঙ্গে দেখা করতে। নাভিদ জানায়, প্রভার স্বামী তার দোকান থেকে নিয়মিত কুকুরের জন্য খাবার কিনত এবং বকেয়া বিল বাবদ তার কাছে দেড় লাখ টাকা পাওনা আছে। প্রভা জানে, তার স্বামীর কুকুরপ্রীতি ছিল। সে জানায়, টাকাটা শোধ করে দেবে, কিন্তু তাকে দুই দিন সময় দিতে হবে। নাভিদও নাছোড়বান্দা, সে আজ টাকা না নিয়ে যাবে না। এভাবেই এগিয়েছে নাটকটির কাহিনি।

সাইফ সুমন আরও বলেন, ‘এটি একটি বিনোদনমূলক নাটক। ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করতে মঞ্চে “জবর আজব ভালোবাসা”। আশা করছি, সবার ঈদের আনন্দের সঙ্গে ভালো একটি সন্ধ্যা কাটবে।’