১৩ বছর পর জুতাজোড়া উদ্ধার!

রুবি স্লিপার্স
রুবি স্লিপার্স

চুরি যাওয়ার ১৩ বছর পর উদ্ধার হলো মার্কিন গায়িকা ও অভিনয়শিল্পী জুডি গারল্যান্ডের রুবি স্লিপার্স। ১৯৩৯ সালে মিউজিক্যাল সিনেমা ‘উইজার্ড অব ওজ’-এ এই স্লিপার পরেছিলেন জুডি। ২০০৫ সালে মিনেসোটার জাদুঘর থেকে চুরি হয়ে যায় এই জুতাজোড়া। ঘটনার পর অজ্ঞাত এক দাতা জুতাজোড়া উদ্ধার বা চোরের খোঁজ দেওয়ার জন্য ১০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন। চুরির ১০ বছর পর অবশ্য এই ঘোষণা বাতিল হয়ে যায়। ঘোষণা বাতিলের তিন বছর পর জুতা উদ্ধারের সঙ্গে চুরির ঘটনার কোনো যোগ আছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে কোথা থেকে বা কীভাবে এই জুতাজোড়া উদ্ধার করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। এফবিআইয়ের বিশেষ দূত জন স্যানবর্ন জানিয়েছেন, এ চুরির বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তাঁদের হাতে অনেক তথ্য এসেছে যা পরে জানানো হবে।

এই রুবি স্লিপার্সকে বলা হচ্ছে চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সব থেকে মূল্যবান কস্টিউম। দশ লাখ ডলারের বিমা হলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এর দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ।

জুডি গারল্যান্ড
জুডি গারল্যান্ড

কীভাবে চুরি হয়েছিল?
দ্য জুডি গারল্যান্ড জাদুঘরটি গারল্যান্ডের জন্মস্থান গ্র্যান্ড র‍্যাপিডসে। মিশেল শ নামের এক সংগ্রাহকের কাছ থেকে রুবি স্লিপার্সের ওই জোড়াটি ধার নিয়েছিল জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। চোর প্রায় বিনা শ্রমেই জানালা ভেঙে কাচের বাক্সের ভেতর রাখা জুতাজোড়া নিয়ে যায়। ওই রাতে নজরদারির কাজে ব্যবহার করা ক্যামেরাগুলো কাজ করছিল না। এমনকি চোর কোনো সূত্রও রেখে যায়নি। না কোনো হাতের ছাপ, না পায়ের ছাপ।

২০১৫ সালে মিশেল শ নিউজউইককে বলেছিলেন, ‘যখন ফোনে আমাকে চুরির ঘটনা জানানো হলো, মনে হলো আমার পেটে কেউ জোরসে ঘুষি মেরেছে। আমার পা অসাড় হয়ে গিয়েছিল এবং আমি মেঝেতে বসে পড়েছিলাম। ৩৫ বছর ধরে আমি ওই জুতাজোড়া আগলে রেখেছিলাম।’

জাদুঘরটির সহপ্রতিষ্ঠাতা জন মিনার ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন, ‘আমি ভেঙে পড়েছিলাম, কেঁদে ফেলেছিলাম। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে, এমন বাজে ঘটনা আমাদের সঙ্গে ঘটতে পারে।’

চুরি যাওয়ার পরও খালি টেবিলের ওপরে ‘ডরোথিস রুবি স্লিপার্স’ কথাটি লেখা ছিল। এই চুরি নিয়ে ২০১৫ সালে একটি তথ্যচিত্রও মুক্তি পেয়েছিল। ‘উইজার্ড অব ওজ’ ছবিতে গারল্যান্ডের ব্যবহার করা বাকি তিন জোড়া রুবি স্লিপার্স অক্ষত আছে। বিবিসি