এরপর কী হবে, চরিত্রটি নিজেও জানে না: মনোজ

মনোজ প্রামাণিক
মনোজ প্রামাণিক
>

তরুণ অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক অভিনীত ও ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একটি সবুজ ব্যাগ’ আজ আইফ্লিক্সে রাত নয়টায় প্রচারিত হবে। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটি নিয়েই আলাপ শুরু হয় মনোজ কুমারের সঙ্গে। কথায় কথায় উঠে আসে নাটক, টেলিফিল্ম, চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর ব্যস্ততার কথা।

‘একটি সবুজ ব্যাগ’ নিয়ে বলুন...
আমি খুব উপভোগ করেছি কাজটা করার সময়। আমাকে শুধু চরিত্রটি নিয়ে বলা হয়েছিল। গ্রাম থেকে সদ্য বিয়ে করে তার স্ত্রীকে নিয়ে শহরে এসেছে। হাতে একটা ব্যাগ আছে, যেটা সে খুব সাবধানে রাখে। কেন রাখে? এটা নিয়েই গল্প। কী গল্প, তা আমাকেও জানানো হয়নি। তখনই আমি চরিত্রটি নিয়ে কৌতূহলী হয়ে যাই। এরপর কী হবে? অভিনেতা হিসেবে নিজেও জানতে চাই। চরিত্রটাও এ রকম। এরপর কী হবে? সে কি কাজের জন্য এসেছে? সে নিজেও জানে না। দুই দিন শুটিং করেছি। এটা ঢাকার রাতের গল্প।

ইফতেখার আহমেদ ফাহমির সঙ্গে এটা তো প্রথম কাজ...
হ্যাঁ। ফাহমি ভাই যেভাবে আমাকে বুঝিয়েছেন, তাতে অভিনয় করতে কোনো সমস্যা হয়নি। প্রতিটি শটের আগে তিনি একধরনের মোটিভেশন দেন চরিত্রটিকে ভেতর থেকে বের করে আনার জন্য। এটাই খুব সাহায্য করেছে অভিনয় করার জন্য।

ইদানিং নাটকের পাশাপাশি অনেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে। অভিনেতা হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখছেন?
খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছি। নাটকে অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েই কাজ করতে হয়। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাজগুলো একটু যত্ন নিয়ে করা হয়। বাজেটও ভালো থাকে। আগে বেশির ভাগ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবকেন্দ্রিক তৈরি হতো। তাতে দর্শকের কাছে পৌঁছানো বেশ কঠিন ছিল। এখন অনলাইনের মাধ্যমে সেই ছবিগুলো খুব সহজে পৌঁছে যাচ্ছে দর্শকের কাছে। নতুন নতুন অনেক আইডিয়া আসছে। আমরাও ভালো অভিনয়ের সুযোগ পাই। এ জন্য আমি এটাকে খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছি। আর এখন তো পুরো দেখার মাধ্যমই পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। সবাই অনলাইনমুখী।

এখনকার ব্যস্ততা নিয়ে বলুন...
আমি নিয়মিত এক ঘণ্টার নাটকগুলো করছি। এক-দুইটা ধারাবাহিকও করছি। চলচ্চিত্র নিয়েও কথা হচ্ছে। তা ছাড়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর শনিবার বিকেল ছবিতে অভিনয় করেছি। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ইতি, তোমারই ঢাকায়ও অভিনয় করেছি।

নাটক নিয়ে যাঁরা লেখাপড়া করেছেন, তাঁদের খুব কমই পেশাগতভাবে অভিনয়ে দেখা যায়...
আসলে নাটক নিয়ে যাঁরা পড়ালেখা করেন, তাঁরা মঞ্চাভিনয়ের চর্চা করেন। তাঁদের চর্চাটা একটু অন্য ধরনের হয়। তবে আমিসহ অনেকেই কিন্তু অভিনয় করতে আসছেন।

শিক্ষকতা ও অভিনয়-দুটি বিষয় একসঙ্গে কীভাবে সামলান?
শিক্ষকতায় বছরে অনেকগুলো দিন ছুটি থাকে। এই ছুটিগুলো নিয়ে কাজ করি। সে ক্ষেত্রে একটু বেছে কাজ করতে হয়। আমি এ কারণে খুব বেশি ধারাবাহিক করি না।

অভিনয় নিয়ে পরিকল্পনা কী?
অভিনয় নিয়ে সুদূরপ্রসারী কোনো পরিকল্পনা নেই। অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে। অভিনয় করে যেতে চাই।

নিজের অভিনয় নিয়ে গুরুতর অভিযোগ কী?
আরও নিষ্ঠাবান হওয়া দরকার।

যে অভ্যাসটি দূর করতে চাই...
আলসেমি।

পরিচালক বা প্রযোজকেরা আপনাকে নেওয়ার কথা বলে পরবর্তী সময়ে নিলেন না। তাঁদের কাছ থেকে বাদ পড়ার কোন কারণটি বেশি শুনেছেন?
যে চরিত্রটির জন্য আমাকে ভাবা হয়েছিল, সে জায়গায় একটু ‘ডিফরেন্ট’ কাউকে খোঁজা হচ্ছে।