প্রথম গান থেকে একসঙ্গে: তপন চৌধুরী

আইয়ুব বাচ্চু ও  তপন চৌধুরী
আইয়ুব বাচ্চু ও তপন চৌধুরী

শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াত—মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সংগীত সহযাত্রীরা। তাঁর প্রয়াণে নিজের ভাই চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি হচ্ছে শিল্পী তপন চৌধুরীর। এই শোক সহ্য করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। একসঙ্গে এতটা পথ চলার পর হঠাৎ করে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।

তপন চৌধুরী বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু চলে গেছে, এটা আমি চিন্তাই করতে পারছি না। সহ্যই করতে পারছি না। আমার জীবনের প্রথম গান থেকে আমাদের একসঙ্গে পথচলা। সে আমার ক্যাসেট করেছে, ভিডিও করেছে । প্রথম ক্যাসেটের সংগীত পরিচালক ছিল সে। সে অনেক বড় একজন মিউজিশিয়ান, একজন কমপ্লিট মিউজিশিয়ান। অনেকে বলে বাচ্চু শুধু রক গান করে। কিন্তু সব ধরনের কম্পোজিশন করতে পারত সে। সে ছিল ভার্সেটাইল একজন শিল্পী। সব ধরনের গান করতে পারত।’

নিজেদের আত্মীয়তার সম্পর্ক ও স্মৃতি স্মরণ করে তপন চৌধুরী বলেন, ‘বাচ্চুর মা আমাকে বড় ছেলে মনে করত। প্রথম যখন গান শুরু করি, আশির দশকের শুরুর দিকে, ওর মা আমাকে বলছিল, “ও তপন, রবিন (আইয়ুব বাচ্চু) তো ঢাকা যাচ্ছে। ওর দিকে খেয়াল রাখিস। তু্ই ওকে দেখবি যে তুই ওর বড় ভাই। আমি চাই না, রবিন অন্য কিছু করুক। ও গান–বাজনাই করুক।” বাচ্চু কোনো ব্যবসা করেনি, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শুধু গানই করছে। সে আপাদমস্তক একজন শিল্পী। এই শিল্পীজীবনের মধ্য দিয়েই সে সবকিছু করছে। সন্তানদের বড় করছে, দেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়েছে। এর বেশি আর কীই–বা চাওয়ার আছে। সে সার্থক, সে সফল।’

তপন চৌধুরীর সংগীতজীবনে অবদান ছিল আইয়ুব বাচ্চুর। তাঁর প্রথম অডিও অ্যালবাম ‘তপন চৌধুরী’র সুরকার ও সংগীতায়োজক ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।