শ্রদ্ধায় খুশি, নামের বানান দেখে কষ্ট

প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর অনেক গান এর আগে জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’তে গেয়েছেন প্রতিযোগীরা। বাংলাদেশ থেকে ‘সা রে গা মা পা’র এবারের সিজনে প্রতিযোগী হিসেবে আছেন নোবেল। আইয়ুব বাচ্চুর গান গেয়ে এরই মধ্যে তিনি বিচারক আর দর্শকদের মন জয় করেছেন। গতকাল রোববার রাতে প্রচারিত জি বাংলার ‘সা রে গা মা পা’ অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাংলাদেশের প্রয়াত এই সংগীতশিল্পীকে জি বাংলা যে শ্রদ্ধা জানিয়েছে, তার জন্য খুশি আইয়ুব বাচ্চুর ভক্ত আর সাধারণ দর্শকেরা।

কিন্তু এই অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চুর নামের বানান ভুল দেখে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন তাঁর ভক্ত, শ্রোতা আর অনুষ্ঠানটির দর্শক। সেখানে এই রক স্টারকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে লেখা হয় ‘আয়ুব বাচ্চু’। তা নিয়ে আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সারা দিন অনেকেই তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামের বানান ভুল করা কিংবা ভুল উচ্চারণে বলা কলকাতার টিভি চ্যানেল আর পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনের স্বাভাবিক ঘটনা।

গত ১৮ অক্টোবর সকালে বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আইয়ুব বাচ্চু।

এরপর ২১ অক্টোবর কলকাতার জি বাংলার রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’তে আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরণ করা হয়। এবার চ্যানেলটি এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর জন্য একটি পর্বের বিশেষ আয়োজন করে। গতকাল রাতে প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিযোগী মাইনুল ইসলাম নোবেল গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চুর ‘এই রূপালি গিটার’ গানটি। শুরুটা করেন কলকাতার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায় ‘সেই তুমি’ গান গেয়ে। আয়োজনের শেষটাও হয় এই গান দিয়ে। আইয়ুব বাচ্চুর গানে একপর্যায়ে অংশ নেন রূপঙ্কর, ইমন, অনুপম, নোবেল, প্রতিযোগিতার দুই বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য ও শান্তনু মৈত্র। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক যীশু সেনগুপ্ত ড্রামস বাজিয়েছেন।

‘সা রে গা মা পা’ অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরণ করে গান গেয়েছেন শিল্পীরা
‘সা রে গা মা পা’ অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরণ করে গান গেয়েছেন শিল্পীরা

গান শেষে যীশু বলেন, ‘আমরা যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছি, একজন মানুষকে স্মরণ করে, তিনি হচ্ছেন আইয়ুব বাচ্চু। আমার মনে হয় এই গানের মধ্য দিয়ে আইয়ুব বাচ্চু আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন বহু বহু বছর।’

নোবেল বলেন, ‘১৮ অক্টোবর সকালে যখন খবরটি শুনলাম, বাচ্চু স্যার (আইয়ুব বাচ্চু) আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তখন বিশ্বাস করতে পারিনি। দুই দিন পর্যন্তও এটি আমার কাছে অবিশ্বাস্য ছিল। ভাবতে চেয়েছি, এটা গুজব। যখন স্যারের জানাজায় উপস্থিত হলাম, তখন আর বিশ্বাস না করে উপায় ছিল না। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মানসিকভাবে ভেঙে আছি। আমরা যারা এখন মিউজিক করছি, তাঁদের সবার মধ্যে বাচ্চু স্যারের প্রভাব অনেক বেশি। সারা জীবন তিনি গানের সঙ্গেই ছিলেন, এখন তিনি নেই। তবে তাঁর গান দিয়েই তিনি আমাদের সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন।’

অনুপম রায় বলেন, ‘২০০০ সালে আমার কলেজজীবন শুরু হয়েছিল। সেই দিনগুলোতে আইয়ুব বাচ্চুই ছিলেন প্রেরণা। কলেজের অনুষ্ঠানে যে গানগুলো বাজানো হতো, সেখানে বাচ্চু ভাইয়ের গান থাকত অনেক। আজ এভাবে তাঁকে নিয়ে গান গাইব, ভাবতে পারিনি।’