ছায়ানটের 'হাজারো কণ্ঠে দেশগান'

ছায়ানটের ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ আয়োজনের মহড়ার দৃশ্য
ছায়ানটের ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ আয়োজনের মহড়ার দৃশ্য

১৯৭১ সালে যে সময় ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, ঠিক সেই সময় হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের উদ্যোগ নিয়েছে দেশের শীর্ষ সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, আগামীকাল রোববার বিকেল পৌনে চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ লিসা জানান, ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ শীর্ষক আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন ছায়ানটের সব শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি থাকবেন সেখানে আসা সাধারণ মানুষজনও। তাঁরা সবাই জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলাবেন।

লিসা আরও জানান, ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ শীর্ষক আয়োজনে জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি থাকবে একক ও সম্মেলক কণ্ঠে গাওয়া গান, দলীয় নাচ ও আবৃত্তি। একক কণ্ঠে গান গাইবেন ডালিয়া নওশীন (একই অপরূপ রূপে মা তোমায়) ও সেমন্তী মঞ্জরি (সবারে বাসরে ভালো)। সম্মেলক কণ্ঠে ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা গাইবেন রবীন্দ্রসংগীত ‘আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে’ ও ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা’, নজরুলসংগীত ‘চল চল চল’ ও ‘সংঘস্মরণ তীর্থ যাত্রা পথে’, সুকান্তের ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ’, সারি গান ‘হেইয়োরে হেইয়ো’, মীরা দেব বর্মণের ‘আমি টাকডুম টাকডুম বাজাই’, আবদুল লতিফের ‘লাখো শহীদের রক্ত’। সব কটি গানের সঙ্গে থাকবে দলীয় নাচ। আর কবি তারিক সুজাতের কবিতা আবৃত্তি করবেন আবদুস সবুর খান।

ছায়ানটের ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ আয়োজনের মহড়ার দৃশ্য
ছায়ানটের ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ আয়োজনের মহড়ার দৃশ্য

লাইসা আহমদ লিসা বলেন, ‘আমরা সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করি, সবার সহযোগিতায় ধর্ম-বর্ণ-আদর্শনির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে বাঙালির মেলার এই আয়োজন সার্থক হবে।’

ছায়ানটের ‘হাজারো কণ্ঠে দেশগান’ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে দীপ্ত টিভি।