'ঘুড্ডি'র নির্মাতার অবস্থা ভালোর দিকে

সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী

তিন দিন আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ঘুড্ডি’ ছবির নির্মাতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী। শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরামর্শে বরেণ্য এই পরিচালককে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়। যাবতীয় চিকিৎসা শেষে আজ রোববার সকালে জানা গেছে, এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। প্রথম আলোকে এমনটাই জানালেন বরেণ্য এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের স্ত্রী শাহানা বেগম।

শাহানা বেগম জানান, মাস তিনেক ধরে একা হাঁটাচলা করতে পারেন না। অন্যের সাহায্য নিয়ে আর হুইলচেয়ারে চলাফেরা করছিলেন। কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার জ্বরের মাত্রা বেড়ে যায়, একই সঙ্গে শ্বাসকষ্টও বাড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

বরেণ্য এই পরিচালকের স্ত্রী জানান, সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীর শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। হৃদ্‌রোগ ছাড়াও কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। বছর খানেক আগে কিডনির জটিলতা নিয়ে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের চিকিৎসা নেন তিনি।

নির্মাতা পরিচয়ের বাইরেও সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার ও লেখক হিসেবে পরিচিত। ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’ দিয়ে দর্শকদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সমালোচকদেরও মন জয় করেন তিনি। এই সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর ‘লাল বেনারসি’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। গত শতকের নব্বই দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।

‘ঘুড্ডি’ সিনেমার প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুবর্ণা মুস্তাফা। এই সিনেমায় কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা ও হ্যাপি আখান্দের গাওয়া ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।