ছবিটা দেখার পর সবার ভুল ভাঙবে: জাহিদ হাসান

জাহিদ হাসান
জাহিদ হাসান
>

সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত নতুন সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’। প্রকাশ করা হয়েছে ছবির পাত্রপাত্রীদের চরিত্রের ছবিও। এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনানুষ্ঠানিকভাবে সেন্সর বোর্ডও ছাড়পত্র না দেওয়ার কথা বলেছে। কী আছে ছবিতে? নিজের চরিত্রটাই–বা কেমন? এসব নিয়ে কথা বলেছেন ছবিটির অভিনেতা জাহিদ হাসান।

সম্প্রতি শনিবার বিকেল চলচ্চিত্রে আপনার অভিনীত চরিত্রের একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। তারপর থেকে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চয়ই দেখেছেন?
দেখেছি। তবে এটা নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। একটা স্থিরচিত্র দেখেই আলোচনা–সমালোচনা করেছেন অনেকে। পুরো ছবি কিন্তু কেউই দেখেননি। একটা স্থিরচিত্র দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া কি ঠিক? ছবিতে আমাকে দাড়িওয়ালা হিসেবে দেখা গেছে। তিশাকে হিজাব পরা অবস্থায়। শুনেছেন হোলি আর্টিজানের ঘটনা নিয়ে নির্মিত। ব্যস, এটা দেখে ও শুনেই যার যার মতো কথা বলা শুরু করলেন অনেকে। আমি বলব, আগে ছবিটা দেখুন, তারপর কথা বলুন। আমার চরিত্র নিয়ে বক্তব্য হলো, আমার চরিত্রটি একটা ইতিবাচক চরিত্র। ইসলামবিরোধী কিছু নেই। আমি মনে করি পুরো ছবিটা দেখার পর সবার ভুল ভাঙবে। শুধু ভুলই ভাঙবে না, যাঁরা এখন আমাকে নিয়ে কথা বলছেন, তাঁরাই আমাকে বাহবা দেবেন। তাই আমার দাবি, কারও কাছে ভুল তথ্য পৌঁছে দেবেন না।

ছবিটি কি হোলি আর্টিজানের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত?
না। ওই ঘটনার ছায়া অবলম্বনে। এ রকম ছবি এর আগে হয়েছে। যেমন কিছুদিন আগে দহন সিনেমা মুক্তি পেল। এটা তো পেট্রলবোমা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র। এখন আমরা কি জিজ্ঞেস করেছি এটা কাকরাইলের ঘটনা, নাকি কুমিল্লার ঘটনা? একইভাবে আমি কয়েক বছর আগে ফারুকী ভাইয়ের মেড ইন বাংলাদেশ নামে একটা ছবিতে অভিনয় করেছি। এটাও তো সত্য ঘটনা অবলম্বনে। এসব নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।

ছবিতে আপনার সহশিল্পীদের চরিত্র কেমন?
সবার চরিত্র বলে দিলে তো পুরো চলচ্চিত্রের গল্পই বলা হয়ে গেল। শুধু এতটুকু বলতে পারি, আমার ও তিশার চরিত্রটি মোটেও নেতিবাচক বা ইসলামবিরোধী চরিত্র নয়। ছবিটি মুক্তির পর সবকিছুই সবাই বুঝবেন।

সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?
আমি একজন অভিনেতা হিসেবে চাই ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পাক। কারণ এই কাজটা অনেক পরিশ্রম ও যত্ন নিয়ে করা হয়েছে। সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা যদি আবার দেখে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে খুব ভালো হয়।

শনিবার বিকেল–এর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
এটা একটা নতুন ও অন্য রকম অভিজ্ঞতা। এটা ‘ওয়ান-টেক’ মুভি। তাই মহড়া হয়েছে অনেক দিন। আমরা সেটেও মহড়া করেছি পাঁচ-ছয় দিন। পুরো ছবিটার সঙ্গে আলো, সেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা দেখেছি, বিশ্বকাপ ফুটবলে অনেক খেলোয়াড় পেনাল্টি মিস করেন। এটা অতিরিক্ত চাপের কারণে হয়। এই ছবিটাও ওই পরিমাণ চাপ নিয়ে করেছি।

আপনার অন্যান্য কাজ কেমন চলছে?
আমি তো কাজ কম করছি। শনিবার বিকেল–এর চরিত্রের জন্য অনেক দিন নিজেকে প্রস্তুত করেছি। আর ভালো চিত্রনাট্য না পাওয়ার কারণে নাটকও কম করা হয়।

শেষ তিন প্রশ্ন
অভিনেতা না হলে কী হতেন?
জানি না কী হতাম। হয়তো কোনো করপোরেট চাকরি করতাম বা ব্যবসা করতাম।

জীবনের কোন সময়টা ফেরত পেলে চোখ বন্ধ করে নিয়ে নেবেন।
আমার শিশুবেলা বা কলেজজীবন।

সাদিয়া ইসলাম মৌ ছাড়া আপনার ক্রাশ আর কে কে ছিল?
মৌ ছাড়া ওই সময়ের সব মেয়েই আমার ক্রাশ ছিল। মৌ ছিল আমার কাছে মানুষ হিসেবে অসাধারণ। এ কারণেই আমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।