বরকে নিয়ে নাচলেন শবনম ফারিয়া

গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে শবনম ফারিয়া ও হারুনুর রশীদ অপু
গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে শবনম ফারিয়া ও হারুনুর রশীদ অপু

ছোট পর্দার তারকা শবনম ফারিয়া তাঁর বন্ধু হারুনুর রশীদ অপুকে বিয়ে করেছেন গত বছর। তখন বিয়ের আয়োজন একেবারে ঘরোয়া ছিল। তাই পরিচিতজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও অভিনয়জগতের বন্ধুদের কাউকে জানাতে পারেননি। তখন জানিয়েছিলেন, শিগগিরই বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন। কথা রেখেছেন শবনম ফারিয়া। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ছিল তাঁর গায়েহলুদ অনুষ্ঠান। রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে শবনম ফারিয়া ও অপুর গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে ছিল তারকামেলা। আমন্ত্রিত অতিথিদের সবাই চমকে যান এই আয়োজনে বর-কনের চমৎকার নাচে।

গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ দিকে মঞ্চে আসেন শবনম ফারিয়া ও হারুনুর রশীদ অপু। বর-কনের নাচের আগে অনেকেই নেচেছেন গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে। মূল মঞ্চের পাশে আমন্ত্রিত তারকাদের নাচে মুগ্ধ হন বর-কনে। এই অনুষ্ঠানে শবনম ফারিয়া ও অপু বাংলাদেশের দুটি সিনেমার গানের সঙ্গে নেচেছেন। প্রথম গানটি ছিল শাকিব খান অভিনীত ‘নবাব’ ছবির ‘দেব তোকে দেব ষোলো আনা’ আর অন্যটি অনন্য মামুন পরিচালিত ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ ছবির ‘বাংলাদেশের মেয়ে’। গান দুটির সঙ্গে বর-কনের নাচ দেখে মুগ্ধ হন আমন্ত্রিত অতিথিদের সবাই।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শবনম ফারিয়া ও হারুনুর রশীদ অপুর বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে। সেখানে আত্মীয়স্বজনদের পাশাপাশি অভিনয়, গান আর চলচ্চিত্রজগতের বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে গতকাল হয়ে গেল গায়েহলুদ, মেহেদি আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শবনম ফারিয়া আর অপুর বিয়েটা নাকি বছর দু-এক আগেই হওয়ার কথা ছিল। শবনম ফারিয়া বলেন, ‘ওই সময় অপুর বাবা মারা যাওয়ার কারণে বিয়েটা পিছিয়ে যায়। পরের বছর আবার আমার বাবা মারা যান। এ কারণে দুই বছর পিছিয়ে যায় আমাদের বিয়ে।’ অপুর সঙ্গে পরিচয় নিয়ে শবনম ফারিয়া বলেছেন, ‘২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুত্ব হয়। ফেসবুকে আমাদের দুজনের অনেক কমন বন্ধু ছিল। অপু আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে আমি তা গ্রহণ করি। এরপর ফেসবুকে কথা বলতে বলতে আমাদের দুজনের বন্ধুত্ব হয়। তিন বছর ধরে আমরা বন্ধু। একপর্যায়ে দুজনকে দুজনের পরিবার পছন্দ করে। এরপর আমাদের আংটিবদল হয়।’

ছোট পর্দার শবনম ফারিয়া বড় পর্দায়েও কাজ করেছেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘দেবী’। হ‌ুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে জয়া আহসান তৈরি করেছেন ছবিটি। প্রযোজনার পাশাপাশি ছবিতে তিনি অভিনয়ও করেছেন।