অনিমেষ-ভাবনার বিয়ের ভাবনা

অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত
অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত

গুণী পরিচালক অনিমেষ আইচ ও নতুন প্রজন্মের সু–অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে বিনোদন অঙ্গনে অনেক কথা ডালপালা মেলেছে। সব উপেক্ষা করে তাঁরা দুজন শুধু নিজেদের মতো করে কাজ করে গেছেন। কাজের সম্পর্কের সুবাদে দুজনের মধ্যে একটা দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এই বন্ধুত্বের সুতো ধরে এসে গেছে ভালো লাগা, ভালোবাসা। এখন জল গড়াচ্ছে আরও দ্রুত। হয়তো খুব শিগগির বাজবে বিয়ের সানাই। ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে প্রথম আলোর সঙ্গে অনিমেষ ও ভাবনার ফোনালাপে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অনিমেষ আইচ ও ভাবনা দুজনেই একবাক্যে স্বীকার করলেন, তাঁরা এখন দুজন দুজনের ভালোবাসার মানুষ। বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার এই সম্পর্ক নিয়ে তাঁরা দুজন পাড়ি দিতে চান বহু দূরের পথ। একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে চান জীবনের পরবর্তী সময়।

অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত
অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত

অনেক বছর ধরেই অনিমেষ আইচ নাট্য নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ভাবনা কয়েক বছর ধরে অভিনয়ে নিয়মিত। এই দুজনকে এক করেছিল ‘নয়টার সংবাদ’ নাটকটি। ২০১৩ সালে এই নাটকটির জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের সমালোচক বিভাগে শ্রেষ্ঠ টিভি নির্দেশকের পুরস্কার অর্জন করেন। এদিন রাতে অভিনন্দন জানানোর ছুতোয় ভাবনা ফোন করেন অনিমেষ আইচকে। সেই থেকে গল্প শুরু, মন দেওয়া-নেওয়া।

অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত
অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভাবনা বলেন, ‘আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি। ওর সবচেয়ে বড় যে গুণটা আমাকে মুগ্ধ করেছে, সেটা হচ্ছে অনেক বিশাল মনের মানুষ ও। আমার অসম্ভব আন্তরিক। সবকিছু এত সুন্দরভাবে আগলে রাখে, যেমনটা আমি চাই। চাপা স্বভাবের এই মানুষটি মুখ ফুটে কিছু বলে না, তবে তাঁর কাজকর্ম দিয়ে সে বুঝিয়ে দেয়, আমার প্রতি তাঁর ভালোবাসার ব্যাপকতা কত বেশি।’

অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত
অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত

ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী ভাবনার প্রথম সিনেমা ‘ভয়ংকর সুন্দর’। এই ছবির পরিচালক অনিমেষ আইচ। এই ছবির শুটিংয়ের আগ পর্যন্ত তাঁরা ছিলেন শুধুই বন্ধু। ছবির শুটিং তাঁদের দুজনকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে। ভালোবাসার উপহারস্বরূপ পরিচালক অনিমেষ আইচ ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো আয়োজন করেছিলেন ভাবনার জন্মদিনে। বন্ধুর কাছ থেকে এমন ভালোবাসা ভাবনাকে সবচেয়ে বেশি সারপ্রাইজ করেছে। ভাবনা বলেন, ‘মানুষ যখন দেশের বাইরে ট্রাভেল করে, তখন বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার বিষয়টি নতুন করে উপলব্ধি করা যায়। মানালিতে ছয় পর্বের একটি নাটকের শুটিংয়ে গিয়েছিলাম। শুটিংয়ের সময়টাতে আমার জন্মদিন ছিল। মনে রাখার মতো একটি জন্মদিন উপহার দিয়েছিল অনিমেষ।’

অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত
অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত

অনিমেষ ও ভাবনা একে অপরকে ভালোবাসার কথা জানান চিঠি লিখে। নিয়মিতভাবে তাঁরা দুজন একে অপরকে চিঠি লেখেন। ভাবনা বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রে একটি নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাব, বিমানের লম্বা ভ্রমণক্লান্তি দূর করতে আমাকে আট পৃষ্ঠার একটি চিঠি লেখে, যা সত্যিই আমার সেই লম্বা ভ্রমণক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। কতবার যে বিমানে বসে সেই চিঠি পড়েছি, তার হিসাব নেই।’

অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত
অনিমেষ আইচ ও আশনা হাবিব ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত

ভাবনার যে গুণ অনিমেষ আইচকে মুগ্ধ করেছে, তা হচ্ছে সারল্য। বললেন, ‘ওর মধ্যে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। আমি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ তাঁর সরলতায়। এই সরলতায় আমাকে প্রতিনিয়ত ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।’

বিয়ে করছেন কবে—এমন প্রশ্নে অনিমেষ খুব বেশি কথা বললেন না। শুধু এটুকুই বললেন, ‘ক্রমান্বয়ে সবকিছুই হবে। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম ভালোবাসা যখন এসেছি আমরা, বিয়েটাও হবে। সময়ই সবকিছু বলে দেবে।’