'ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব' শুরু কাল

ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব’ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব’ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রথম আলো

পঞ্চমবারের মতো আগামী ১৫ এবং ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মুঠোফোন ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগিতা ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব’।

পঞ্চম আসরকে কেন্দ্র করে ১৪ই ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। ইউল্যাবের ‘সিনেমাস্কোপ’পরিচালিত ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে৷ এই আয়োজন মুঠোফোন দ্বারা তৈরি চলচ্চিত্র নির্বাচন, প্রদর্শনও সবশেষে সেরা চলচ্চিত্র বাছাই করে বছরের সেরা পরিচালককে পুরস্কৃত করে থাকে।

উৎসবমুখর এই আয়োজনটি উন্মুক্ত থাকছে সকলের জন্য।‘স্ক্রিনিং’, ‘কমপিটিশন’ও‘ওয়ান মিনিট ফিল্ম’এই তিনটি বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পান৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয়পর্যায় ভেদ করে আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গণ ছুঁয়েছে এই অনুষ্ঠান৷

প্রতিযোগিতার এই আসরে বিশ্বের ৩৪ টি দেশ থেকে সর্বমোট ৯৫ টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। উৎসবের পঞ্চম আসরে বিচারকার্য সম্পন্ন করেছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান, সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান এবং চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রবন্ধ লেখক বিধান রিবেরু। প্রসূন রহমান তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন ‘সুতপার ঠিকানা’নামক চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে। তিনি শুধুমাত্র একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাই নন, একই সঙ্গে তিনি একজন জনপ্রিয় লেখকও। প্রতিযোগিতার আরেক বিচারক রাশেদ জামান সিনেমাটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও তিনি তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন স্থাপত্য শিল্পের আচ্ছাদনে।

উৎসবের আরেকজন বিচারক বিধান রিবেরু বর্তমানে চলচ্চিত্র কেন্দ্রিক লেখালেখিতে মগ্ন আছেন। তাঁর লেখা সর্বপ্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রবন্ধ ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’ কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বিচারকমণ্ডলীর নির্বাচনে ‘কমপিটিশন’ বিভাগে জমাকৃত ২৮ টি চলচ্চিত্র থেকে ১০টি, ওয়ান মিনিট ফিল্ম বিভাগের ৩ টি চলচ্চিত্র থেকে ২ টি এবং স্ক্রিনিং বিভাগে জমাকৃত ৬৪ টি চলচ্চিত্র থেকে ২৬ টি; সর্বমোট ৩৮ টি চলচ্চিত্র চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

এবারের আয়োজন ১৫ এবং ১৬ই ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী চারটি পর্বে বিভক্ত থাকছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন জনপ্রিয় চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার মতিন রহমান। ‘লাল কাজল’ নামক চলচ্চিত্র তৈরির মাধ্যমে চিত্র অঙ্গনে যাত্রা শুরু করা এই গুণী নির্মাতা। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধবিশ্বাস‌‌’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পরিচালক হিসেবে প্রথমবারের মতো জিতে নেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করবেন ইউল্যাব এর উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হক, অধ্যাপক জুড উইলিয়াম হেনিলো এবং প্রধান অতিথি মতিন রহমান।

১৫ এবং ১৬ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় যথাক্রমে বেলা ১১ টা এবং দুপুর ৩ টায়উৎসবেরপঞ্চম আসরে চূড়ান্ত পর্যায়ে নির্বাচিত চলচ্চিত্র গুলো প্রদর্শিত হবে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ওয়াফি আজিজ সাত্তারেরর বিশেষ কথোপকথন এবং তৃতীয় পর্বে থাকছে বিজয়া আনাম এর ‘মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড গ্লোবাল কনটেক্স’ শীর্ষক বিশেষ কথোপকথন। ১৬ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানটির ৪র্থ পর্বে নির্বাচিত চলচ্চিত্র গুলির মধ্য থেকে ‘কমপিটিশন’ বিভাগের সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতার জন্য থাকছে ‘সিনেমাস্কোপ বেষ্ট ফিল্ম’ অ্যাওয়ার্ড এবং ওয়ান মিনিট ফিল্ম বিভাগের সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতার জন্য থাকছে ‘ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার’অ্যাওয়ার্ড। এ ছাড়া নির্বাচিত সকল নির্মাতাদের জন্য থাকছে সনদপত্র এবং উপহার।