ফারুকী আর তিশার বিয়ের কাবিন কত?

‘সখী ভালোবাসা কারে কয়? সে কি কেবলই যাতনাময়!’ ভালোবাসা কেমন হয়? বিশেষ করে প্রিয় তারকা দম্পতিদের ভালোবাসার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে সীমাহীন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে প্রথম আলো ও সিবিএল মাঞ্চি চাংকি চক আয়োজন করে প্রিয় তারকা দম্পতিদের ভালোবাসার গল্প শোনার অনুষ্ঠান ‘ভালোবাসার দিনে ভালোবাসার গল্প’। অনুষ্ঠানে ভালোবাসার গল্প শোনাতে এসেছেন জনপ্রিয় তারকা দম্পতি নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উপস্থাপনা করেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।

ভালোবাসার রঙে লাল হয়ে এসেছিলেন পূর্ণিমা। কিন্তু তিশার পরনে ছিল সাদা শাড়ি। তিশা বলেন, ‘আমার কাছে ভালোবাসার মানে হলো শুভ্র।’ পূর্ণিমা জানতে চান, ‘এই শুভ্রটা আবার কে?’ পাশেই বসে ছিলেন ফারুকী। প্রশ্ন শুনে তিনজনেই হেসে ওঠেন। এমনই হাসিঠাট্টা করে এগিয়ে চলে আড্ডা।

কে প্রথম ভালোবাসার কথা বলেছিলেন—তিশা নাকি ফারুকী? জানা গেল, ফারুকী প্রথম তিশাকে জানিয়েছিলেন তাঁর ভালোবাসার কথা। কাজের সূত্রে তিশা তখনো ফারুকীকে ‘ভাইয়া’ বলেই সম্বোধন করতেন। ফারুকী বললেন, ‘আমার এবং তিশার প্রেমের ঘটনার কিছু প্রতিফলন আছে “সিক্সটি-নাইন” নাটকে। যেমন তিশাকে সরাসরি ভালোবাসার কথা জানানোর আগে ইঙ্গিত দিয়ে বলতাম, তিশা, তোমার যদি কোনো বড় বোন থাকত, তাহলে আমি তাকে বিয়ে করতাম।’ জবাবে তিশাও দুষ্টুমি করে বলতেন, ‘হ্যাঁ ভাইয়া, আমার কোনো বড় বোন থাকলে আপনার মতো একজনের সঙ্গেই বিয়ে দিতাম।’

‘ভালোবাসার দিনে ভালোবাসার গল্প’ অনুষ্ঠানে তিশা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও পূর্ণিমা। ছবি: প্রথম আলো
‘ভালোবাসার দিনে ভালোবাসার গল্প’ অনুষ্ঠানে তিশা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও পূর্ণিমা। ছবি: প্রথম আলো

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একদিন সাহস করে তিশার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। এরপর বিয়ে। ১৪ বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে পথ চলছেন।

পূর্ণিমা জানতে চান, ফারুকীর বেশির ভাগ ছবিতে কেন তিশা নায়িকা? ফারুকী বললেন, ‘তিশা একজন গুণী অভিনেত্রী। একসঙ্গে অনেক দিন ধরে কাজ করায় এবং একসঙ্গে থাকায় আমরা দুজন দুজনকে ভালো বুঝতে পারি। তাই পরিচালক আর নায়িকা হিসেবেও কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।’ ফারুকী আরও বলেন, ‘তিশার সঙ্গে যদি আমার বিয়ে না-ও হতো, তিশা তাঁর যোগ্যতা দিয়েই আজকের তিশা হতো এবং আমিও আমার কাজের মাধ্যমেই মানুষের ভালোবাসা পেতাম। কে কাকে বিয়ে করল, সেটা দিয়ে দর্শকের মনে খুব বেশি প্রভাব ফেলা যায় না।’

এ ছাড়া কিছু মজার তথ্য বেরিয়ে আসে এই আড্ডায়। যেমন ফারুকী আর তিশার বিয়ের কাবিন হয়েছিল এক কোটি টাকায়। গল্প ও হাসিঠাট্টার মাঝে তিশা ও ফারুকী জানান, ভালোবেসে একসঙ্গে থাকতে গেলে দুজনের মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়ার দরকার হয়। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, একে অন্যের কাজের প্রশংসা করা, সঙ্গীকে নিজের মতো করতে না চেয়ে তাঁর দোষ ও গুণকে শ্রদ্ধা করতে পারা সম্পর্ককে সহজ ও সুন্দর করে তোলে।

দর্শকদের উদ্দেশে এই দম্পতি বলেন, শুধু ভালোবাসা দিবসেই নয়, প্রতিদিন আপনার প্রিয়জন আর ভালোবাসার মানুষদের ভালোবাসুন এবং ভালো রাখুন।