খেতে পারছেন না কুদ্দুস বয়াতি, স্যালাইনই ভরসা

কুদ্দুস বয়াতি
কুদ্দুস বয়াতি

কয়েক দিন ধরে কিছুই খেতে পারছিলেন না লোকগানের শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। ফুসফুসের সংক্রমণেও আক্রান্ত হন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রোববার রাতে ঢাকার মহাখালীতে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কুদ্দুস বয়াতির মেজ ছেলে আলমগীর কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, এর আগেও তাঁর বাবা কয়েকবার অসুস্থ হন। কিছুদিন আগে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

আলমগীর কুদ্দুস বলেন, ‘বাবার অবস্থা এখন বেশ খারাপ। হাসপাতালে আনার আগে অল্প করে কিছু খেতে পারলেও এখন কোনো কিছুই খেতে পারছেন না। চিকিৎসক বলেছেন, তাঁর খাদ্যনালিতে সমস্যা গুরুতর। তাই স্যালাইনই এখন ভরসা। বাবার কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে। তবে চিকিৎসকেরা যত্ন নিয়ে বাবার দেখাশোনা করছেন। আমাদের ইচ্ছে বাবা কিছুটা সুস্থ হলেই তাঁকে নিয়ে ব্যাংকক যাওয়ার। সবাই বলছেন, বাবার যে সমস্যা সেটার আধুনিক চিকিৎসাসেবা সেখানে পাওয়া সম্ভব। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’

বেশ কিছুদিন ধরেই কুদ্দুস বয়াতি অসুস্থ। দেশের লোকগানের এই শিল্পীর অসুস্থতার খবর শুনে গত বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ডেকে নিয়ে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র হাতে তুলে দেন।

১৯৫৯ সালে সালের ১ জানুয়ারি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কুদ্দুস বয়াতি। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে জনসচেতনতামূলক ‘এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে’ এমন কথার একটি গান নিয়ে হাজির হন কুদ্দুস বয়াতি। হ‌ুমায়ূন আহমেদের লেখা ও কুদ্দুস বয়াতির সুর করা এই গানটি রাতারাতি পরিচিতি এনে দেয় বয়াতিকে। এরপর হ‌ুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন নাটকের মধ্য দিয়েও বয়াতি ব্যাপক পরিচিত পান।